নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে যে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা রয়েছে, তাদের কর্মীদের সাত দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক পুলিশের তরফে।
এখন থেকে প্রতিটি হাসপাতালের ক্ষেত্রে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অধ্যক্ষই যাতে থাকেন, সেই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পরামর্শ দিলেন অধ্যক্ষের সঙ্গে এক জন সিনিয়র ডাক্তার, এক জন জুনিয়র ডাক্তার, এক জন সিস্টার, স্থানীয় বিধায়ক ও স্থানীয় থানার আইসিকে সমিতিতে রাখার জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি সব হাসপাতালেই পুলিশের যতটা সম্ভব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও নারায়ণস্বরূপ নিগমকে, আলো ও অন্যান্য কাজের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা দিতে বলেছি। কেউ কেউ বলছেন, ওখানে (আরজি করে) কেন বিশ্রামের ঘর করতে গেল? এর জন্য আমাদের অন্য কোনও অভিপ্রায় ছিল না। যে হেতু মেয়েটিকে বিশ্রামঘরের অভাবে সেমিনার হলে থাকতে হল, তাই আমাদের অভিপ্রায় ছিল যাতে ডাক্তারদের সেমিনার হলে না থাকতে হয়। তাই একটি বিশ্রামঘর ও সংলগ্ন শৌচালয় বানিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু কাজটি করতে দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “এটি নিয়ে নানান রকম তথ্যপ্রমাণ লোপাটের কথা বলা হচ্ছে। আরে, আমরা প্রমাণ লোপাট করতে যাব কেন? কাকে বাঁচানোর জন্য? কেউ আমাদের বন্ধু নয়, কেউ আমাদের শত্রু নয়। অনেকে অনেক উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। কিন্তু জেনে রাখুন, আমার সঙ্গে কারও কোনও যোগ নেই। আমিও কারও সঙ্গে জড়িত নই। আমি যখন কোনও পদে বসি, সেই পদকে সম্মান করতে আমি জানি। অনেক অসম্মান-অপমান করছেন মিথ্যা কথা বলে, কুৎসা রটিয়ে। আর করবেন না। সত্যিটা জেনে নিন।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি দশ দিন আগেই স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে তা পূরণ করতে। তালিকায় রয়েছে, আলো, সিস্টারদের পৃথক বিশ্রামঘরের ব্যবস্থা, পুরুষ-মহিলা পৃথক শৌচালয়ের ব্যবস্থা-সহ একাধিক বিষয়।
মমতা বলেন, “অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স গঠন নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক করেছি। যখনই বিলটি পাশ হয়ে আসবে, আমরা যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছি, সেগুলি যেন সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর করতে শুরু করি।” এর পাশাপাশি আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “অপরাজিতা আদালত চিহ্নিত করে রাখুন। আমাদের টাকায় যে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত চলে, তার মধ্যে ২৬-২৭টি আদালত চিহ্নিত করে রাখুন। প্রত্যেক জেলায় একটি করে থাকবে এবং কলকাতায় চারটি থাকবে।”
বেআইনি ভাবে জমি দখল রুখতে কড়া পদক্ষেপের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “এখনও যদি কোথাও জমি জবরদখল চলে, বেআইনি নির্মাণ চলে, পদক্ষেপ করতে হবে। যদি কেউ কোনও অন্যায় করেন, কাউকে যেন রেয়াত না করা হয়।”
জেলাশাসকদের আরও সজাগ থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অনেক জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারেরা সদাসতর্ক ও সজাগ। স্থানীয় স্তরে পুলিশের দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁরাও অনেক দিন সামলাচ্ছেন। কিন্তু এ বার আরও সাহসী ভাবে, ঠান্ডা মাথায় আপনাদের প্রশাসন চালাতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসচিবের উদ্দেশে জানালেন, আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা যদি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান, তা হলে যেন তাঁকে জানানো হয়। তিনি বলেন, “আমাদের সরকার বামফ্রন্ট সরকার নয়। আমি সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশনে বসেছিলাম কলকাতায়। কেউ দেখা করতে আসেনি।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “নন্দীগ্রামে ১৪ জনকে হত্যার সাজা এখনও জানি না। আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন, তাঁরাও এখনও ফিরে আসেননি। স্থানীয়েরা বলেন, তাঁদের টেনে নিয়ে গিয়ে হলদি নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দেহ আজও উদ্ধার হয়নি।”
বামেদের বিঁধে মমতা বলেন, “যাঁরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের আমলে স্বাস্থ্য দফতরে ঘুঘুর বাসা বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সেটি আমরা ভাঙতে পারিনি। সেখানে বামেদের লোক বসে আছে। আমরা বসেছিলাম, ‘বদলা নয় বদল চাই’। তাই আজ পর্যন্ত কারও চাকরিতে হাত দিইনি। কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা করিনি। কিন্তু এটি আমাদের দুর্বলতা ভাববেন না।”
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রায় সাত লাখ রোগী বহির্বিভাগে পরিষেবা পাননি। হাসপাতালে প্রায় ৭০ হাজার রোগীকে ভর্তি নেওয়া যায়নি। সাত হাজারের বেশি পূর্বপরিকল্পিত অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে ব্লক স্তর থেকে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “কোনও মানুষ যাতে পরিষেবার অভাবে মারা না যান, তার দিকে লক্ষ রাখতে হবে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি টালা থানার ওসির চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সমস্যা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কারও নাম না নিয়ে বলেন, “চারটি (বেসরকারি হাসপাতালের) নাম আমার কাছে রয়েছে। পুলিশের এক জন ওসি রোগী হিসাবে গিয়েছিলেন। তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এই হাসপাতালগুলির কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।” যাঁরা ভর্তি নিতে অস্বীকার করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সে বিষয়েও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। জবাবে স্বাস্থ্যসচিব জানান, কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “বাংলায় একটি ঘটনা ঘটলেও, তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা কেউ তা সমর্থন করি না। চুপচাপ আছি। নীরবে বেদনা সহ্য করছি। পুলিশকে অ্যাকশন নিতে বারণ করেছি। কিন্তু দয়া করে পরিষেবা দিন।”
মমতা বললেন, “সারা পৃথিবীতে বাংলার নামে বদনাম করা হচ্ছে। একটি হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ জুটেছে। যাঁরা এখান থেকে পড়াশোনা করে, খেয়েদেয়ে, মানুষ হয়ে বাইরে গিয়েছেন— তাঁরা একতরফা কথা শুনে বাংলার বদনাম করছেন। তাঁরা তো দু’পক্ষকে শুনতে পারছেন না। তাঁদের বোঝা উচিত, বাংলাদেশ আলাদা রাষ্ট্র। ভারত আলাদা রাষ্ট্র। এটি আপনারা মাথায় রাখতে ভুলে গিয়েছেন। বাংলাদেশ একটি অন্য রাষ্ট্র, তাদের আমরা সম্মান করি। তাদের ভাষাকে সম্মান করি। এখানে বাংলাদেশ হবে না।”
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে মমতা বললেন, “ প্রতি দিন রাতে আপনারা যদি রাস্তায় থাকেন, অনেক মানুষের তো সমস্যা হয়। অনেক এলাকায় অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন। আলো লাগালে, তাঁদের ঘুমের সমস্যা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়মও রয়েছে রাত ১০টার পর মাইক বাজানো নিয়ে। তা সত্ত্বেও তো আমরা সব ছেড়ে দিয়েছি। এক মাস তো হয়ে গেল। আমি অনুরোধ করব, পুজোয় ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন। সিবিআইকে অনুরোধ করব, তাড়াতাড়ি বিচারের ব্যবস্থা করুন।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয় সিআইএসএফকে জায়গা দিতে হবে। আমি ফিরহাদকে পাঠিয়ে ৩০ শয্যার ইন্দিরা হাসপাতাল ও কলকাতা পুরসভার একটি প্রাথমিক স্কুলের ব্যবস্থা করে দিলাম। এখন বলছে কমিউনিটি হলগুলিও দিয়ে দাও। তা হলে যাঁদের জন্য কমিউনিটি হল করা হয়েছে, তাঁরা কোথায় যাবেন?”
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “আরজি করের পাশে যদি আরও জায়গা লাগে, আমি মুখ্যসচিবকে বলব পাশে যে জায়গাটি পড়ে রয়েছে, সেখানে ব্যবস্থা করে দিন। ডেকরেটর ডেকে তক্তা, খাট পেতে দিন। শৌচালয় বানিয়ে দিন। কিন্তু যদি একটি ভিড় এলাকায় দু’ঘণ্টার মধ্যে জায়গা খুঁজে দিতে বলা হয়, তা কীভাবে সম্ভব!” মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, যদি ওই এলাকায় ব্যবস্থা করা না হয়, তা হলে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ব্যারাকে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হোক। প্রয়োজনে বাসের ব্যবস্থা করা হোক।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দায়িত্ব তো কেন্দ্রকে নিতে হবে। সবটাই যদি রাজ্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয় আমরা কিছু দিইনি, তা ঠিক নয়। এটি মিথ্যা। আমরা তিনটি জায়গা দিয়েছি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত রয়েছে। আমরা আদালত নিয়ে কোনও মন্তব্য করছি না। কিন্তু এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও কয়েকটি বাম দলের চক্রান্ত রয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “কলকাতার পুলিশ কমিশনার নিজে অনেক বার আমার কাছে এসেছেন পদত্যাগ করার জন্য। সাত দিন আগেও। কিন্তু সামনে পুজো রয়েছে। আপনারাই বলুন, যিনি দায়িত্বে থাকবেন, তাঁকে তো আইনশৃঙ্খলা জানতে হবে। কিছু দিন ধৈর্য ধরলে কী মহাভারত অশুদ্ধ হয়! আপনারা বলছেন সবাইকে বদলাতে হবে। আমি পাঁচটা দাবি পূরণ করতে পারি, পাঁচটা না-ও করতে পারি।”
মাটিগাড়ায় ধর্ষণের আসামির ক্ষেত্রে পুলিশ এক বছরের মধ্য ফাঁসির সাজা নিশ্চিত করেছে, সে কথাও জানালেন মমতা। উঠে এল কামদুনির প্রসঙ্গও। সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ মমতা বলেন, “আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে কি না, সেটা পুলিশ দেখবে না? ভাগ্যিস পুলিশ এই কটা দিন সামলেছে। শান্তিপূর্ণ থেকেছে। মার খেয়েছে। নিজেদের রক্ত দিয়েছে, কিন্তু কারও রক্ত নেয়নি। কিন্তু মনে রাখবেন, পুলিশেরও সংসার আছে, তাদেরও পরিবার আছে।”
নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “অনেকে বলছেন আমি টাকার কথা বলেছি। আমি মোটেই বলিনি। আমাকে প্রমাণ দেখাক, কোথায় আমি টাকার কথা বলেছি। মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। এগুলি অপপ্রচার, চক্রান্ত।” মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগেই চিকিৎসক সংগঠনের থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি বাবা-মাকে যা বলেছিলাম তা হল, দেখুন, মৃত্যুর বিকল্প টাকা হয় না। আপনারা খুব মর্মাহত। আমরাও মর্মাহত। কিন্তু যদি কোনও দিন মনে করেন, আপনার মেয়ের স্মৃতিতে কোনও ভাল কাজ করবেন, আমাদের বলবেন। সরকার পাশে আছে।”
মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে আন্দোলনরত ডাক্তারেরা যে দাবিগুলি পেশ করেছিলেন, সেগুলির মধ্যে সব ক’টি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ সরাসরি আসেনি। তার পরেও আমরা দু’জনকে নিলম্বিত করেছি।” মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ময়নাতদন্তের সময় ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকেও ডাকা হয়েছিল।
মমতা বলেন, “যত আন্দোলন হয়েছে অনুমতি ছাড়া। অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টও ডাক্তারদের অনুরোধ করেছে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। আমিও ডাক্তারদের কাছে অনুরোধ করব কাজে ফেরার জন্য।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দয়া করে আপনারা কাজে যোগদান করুন। যদি আপনাদের কিছু বলার থাকে, সব সময়ে স্বাগত। আপনারা ৫-১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আসুন, আমরা কথা বলতে পারি।”
ওড়িশায় বার্ড ফ্লু পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানালেন, ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় সীমানা সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার সীমানায় নজরদারির উপর জোর দিতে বলেছেন তিনি। পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত রেলের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসার জন্যও মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সব দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তিনি। গ্রামাঞ্চলে সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি পরিকাঠামো ও পরিষেবা আরও ভাল করে পৌঁছে দেওয়ার বার্তা দিলেন মমতা। পূর্ত দফতরকে দ্রুত রাস্তা মেরামতের বার্তা দিয়েছেন তিনি। পুলিশকর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে কোনও বড় ট্রাক দিয়ে যাতে না যায়, সে দিকে নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, “যে রাস্তাগুলি ভেঙেছে, সেগুলির কাজ আগে করতে হবে। অন্যথায় নতুন কাজের অনুমতি দেওয়া হবে না। টেন্ডার বণ্টনের ক্ষেত্রে যেন স্বচ্ছতা থাকে। আমি কোনও দিন কোনও টেন্ডারে হস্তক্ষেপ করিনি। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারেন, আমার এক সেকেন্ড সময় লাগবে নিজের দায়বদ্ধতা স্বীকার করতে।”