নিজস্ব চিত্র।
মহকুমা আদালতে মাদক, পকসো, বিদ্যুৎ ও সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির মামলার আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মহকুমা আদালতগুলিকে আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু করার অনুমোদন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচার ব্যবস্থাকে দুয়ারে পৌঁছে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে খুশি হন মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা। ইতিমধ্যে কয়েকটি আদালতে হাই কোর্টের নির্দেশ মতো আগাম জামিনের আবেদনের শুনানিও হয়েছে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নামে রাজ্যের বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোসিয়েশন। হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত পুনির্ববেচনা না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করে। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করার চিন্তাভাবনাও শুরু হয়। এ সবের মধ্যেই হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মহম্মদ সব্বর রশিদি বৃহস্পতিবার জেলা আদালতের বিচারকদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না।
বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, ‘‘প্রশাসনিক নির্দেশিকা জারি করে আইন বদল করা যায় না। সিআরপিসিতে আগাম জামিনের আবেদন জেলা ও দায়রা বিচারকেরা শুনবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। হাই কোর্টের নয়া নির্দেশ আমাদের দাবিকেই মান্যতা দিল। মহকুমা আদালতগুলিতে বিচারকের সংখ্যা অনেক কম। মামলার চাপ রয়েছে। জেলা আদালতে অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের সংখ্যা অনেক বেশি। তাতে দ্রুত বিচার দেওয়া সম্ভব হয়।’’