Sukanya Mondal

অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জামিন দিল দিল্লি হাই কোর্ট, প্রায় ১৫ মাস পর তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন

গরু পাচার মামলায় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। মঙ্গলবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করে দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২০
Sukanya Mondal

অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।

প্রায় ১৫ মাস পরে জামিন পেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বুধবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণা তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। যে শর্তগুলি আরোপ করা হয়েছে সেগুলি হল

Advertisement

১) এই মামলার শুনানির সময় সুকন্যাকে নিম্ন আদালতে হাজির থাকতে হবে।

২) তদন্তকারী অফিসারকে মোবাইল নম্বর দিতে হবে। ওই নম্বর পরিবর্তন করা যাবে না। মোবাইল যেন কাজ করে। যে কোনও সময় ফোনে পাওয়া যাবে এটা নিশ্চিত করতে হবে।

৩) দিল্লিতে তাঁকে কোথায় সব সময় পাওয়া যাবে তা তদন্তকারী অফিসারকে জানাতে হবে।

৪) নিম্ন আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না।

৫) কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যাবে না। কোনও সাক্ষীর প্রভাব খাটানো বা হুমকি দেওয়া যাবে না।

৬) যে কোনও ধরনের অপরাধমূলক কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে।

গত বছর এপ্রিল মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। দিল্লিতে তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। ওই একই মামলায় তার সাড়ে আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুকন্যার পিতা অনুব্রত। তার পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন সুকন্যা। ইডি দাবি করেছিল, তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেছেন।

২০২২ সালের অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারা দাবি করে, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে কেষ্ট-কন্যার কাছে তথ্য রয়েছে। কিন্তু তিনি প্রশ্নের সদুত্তর দিচ্ছেন না। সুকন্যা নাকি জানান, সম্পত্তি সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক (তৎকালীন) মণীশ কোঠারিই (যিনি বর্তমানে ইডি হেফাজতে) দিতে পারবেন। ওই কারণে অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেফতারির পর বাবার মতো সুকন্যারও ঠাঁই হয় তিহাড় জেলে। সেখান থেকে বেশ কয়েক বার তিনি জামিনের আবেদন করেছেন।

সুকন্যার জামিনে মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে বীরভূম জেলার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘আমাদের কাছে এটা নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর। আমরা কেষ্টদার মুক্তির অপেক্ষায়। সেটাও আশা করছি তাড়াতাড়িই হবে।’’

বীরভূম জেলা তৃণমূলের মধ্যে অনুব্রত বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ এবং দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিত। তাঁর এবং কন্যার গ্রেফতারি নিয়ে শোরগোল হয়। তেমনই সুকন্যার জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরেও স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে অনুব্রতের জামিনের আর্জি নিয়ে শুনানি রয়েছে আদালতে। সুকন্যার জামিন নিয়ে আদালতে সওয়াল-জবাব আগেই শেষ হয়েছিল। এত দিন নির্দেশ আসেনি, সেটাই মঙ্গলবার সম্পূর্ণ হল।

আরও পড়ুন
Advertisement