—প্রতীকী ছবি।
বাড়ি ফিরবেন বলে রাস্তা থেকে অটোয় চেপে বসেছিলেন তরুণী। নামার সময় অনলাইন মাধ্যমে ভাড়া মিটিয়ে চলে যান। কিন্তু তাড়াহুড়োয় হাতের ব্যাগটি অটোর মধ্যেই ফেলে চলে যান তিনি। সেই ব্যাগের মধ্যে ছিল তরুণীর আধার কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড-সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র। শুধু তাই নয়, ব্যাগের মধ্যে একটি সোনার হারও রেখেছিলেন তরুণী।
হারের সঙ্গে লাগানো ছিল একটি হিরের লকেট। সামান্য অন্যমনস্কতায় সব কিছুই যেন হারিয়ে বসলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের জোর ছিল তাঁর। সারা দিনের পর তাঁর বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে গেল ব্যাগটি। সেই অটোচালকই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাগটি পৌঁছে দিলেন তরুণীর বাড়িতে। ঘটনাটি গুরুগ্রামে ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’-তিন দিন আগে দুপুর ১টার সময় রাস্তা থেকে অটোয় উঠেছিলেন এক তরুণী। কিন্তু অনলাইনে ভাড়া মিটিয়ে অটো থেকে নেমে পড়েন তিনি। তাড়াহুড়োয় অটোর মধ্যে ব্যাগ ফেলে চলে যান তিনি। সেই ব্যাগের মধ্যে আধার কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও ছিল সোনার হারের সঙ্গে একটি হিরের লকেট। তরুণীর দাবি, সেই হারটি তাঁর দিদা এবং মা মিলে উপহার দিয়েছিলেন।
অটোচালকের সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে শেষমেশ পুলিশের শরণাপন্ন হন ওই তরুণী। অটো ধরে তরুণী যে রাস্তা দিয়ে ফিরেছিলেন, পুলিশকর্মীরা সেই এলাকাগুলিতে তল্লাশি চালান। তবে তাতে কোনও লাভ হয় না।
পরে সেই রাতেই তরুণীর বাড়িতে ব্যাগসমেত হাজির হন অটোচালক। তরুণীকে ব্যাগটি ফেরত দিয়ে যান তিনি। ব্যাগ থেকে কিছু খোয়া যায়নি বলে জানিয়েছে গুরুগ্রাম পুলিশ। একই সঙ্গে সততার জন্য প্রশংসা করা হয়েছে অটোচালকের।