অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা ও হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি তো আছেনই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অনুব্রতর সঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আর কাকে কাকে দিল্লিতে তলব করবে, সেই প্রশ্নেই উদ্বেগ ঘনিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে।
সূত্রের খবর, ফোনে ইডির তরফে ইতিমধ্যেই বার্তা পেয়েছেন সুকন্যা, মণীশ। কবে তাঁদের দিল্লি যেতে হবে, তা পরে জানানো হবে।
ইডি সূত্রের খবর, মোট ১২ জনকে ডাকবে তারা অনুব্রতের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এই তালিকায় সুকন্যার গাড়ি চালক তুফান মির্ধা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক-ও রয়েছেন। এ ছাড়া অনুব্রতর সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান শুভঙ্কর সাধু, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূলকর্মী তাপস মণ্ডল-সহ আরও বেশ কয়েক জনকে দিল্লিতে তলব করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, অনুব্রতর সামনে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের তোড়জোড় শুরু হতেই উদ্বেগ ঘনিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলছেন, “দাদার সামনে আমাদের কারও কথাই চলত না। তাই এ বার তাঁর মুখোমুখি বসে কী ভাবে প্রশ্নের জবাব দেব তা ভেবেই ভয় লাগছে।” মণীশ কোঠারি অবশ্য বলেন, ‘‘আমাকে ডাকা হলে নিশ্চয়ই যাব এবং তদন্তে সহযোগিতা করব।” একই কথা শোনা গিয়েছে অনুব্রতর পরিচারক বিজয় রজকের মুখেও। তিনিও বলেন, “ইডির আধিকারিকেরা ডাকলে যাব।”
দিল্লিতে এ দিন অনুব্রতকে দিনভর জেরা করেন ইডির তদন্তকারীরা। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের শর্ত অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টা অন্তর অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হবে। আজ, রবিবার তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, ‘‘এখন তিনি দিল্লি গিয়েছেন, ওখানে লাড্ডু চলবে। গুড়-বাতাসা খাবেন। আবার প্রয়োজনে চড়াম চড়াম ঢাকও বাজবে।’’