হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং অজিত মাইতি। নিজস্ব ছবি।
খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ‘ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন’ করলে তিনি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। সোমবার এমন হুমকিই দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। সম্প্রতি এই অজিতের সঙ্গেই হিরণের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তোলা বলেই দাবি করা হয়েছিল। হিরণ যদিও তা অস্বীকার করে জানান, ছবিটি সাজানো। এর পরেই অজিতের হুঁশিয়ারি, অভিষেকের অফিসে যা যা বলেছিলেন হিরণ, তা তিনি ফাঁস করে দিতে পারেন।
রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরেরই দাসপুরে একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন হিরণ। সেখানে খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ করেন, ভোটে জেতার পরেই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর কোনও সিনেমাই মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না! টলিপাড়ার প্রযোজকদের উদ্দেশে হিরণ কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের শিরদাঁড়া কি আদৌ সোজা?’’ শাসকদলকে নিশানা করে তিনি আবারও বলেন, ‘‘এখন ওরা (তৃণমূল) আমার ফটো নিয়ে রাজনীতি করছে। এর পর ভিডিয়ো নিয়ে আসবে। আরও অনেক কিছু আনবে।’’
সোমবার অজিত তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। বিজেপি বিধায়ক অভিষেকের কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ করেছিলেন বলে দাবি করে ওই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘হিরণ এখন ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করছেন! হিরণ যা যা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে, সেই কথোপকথন প্রকাশ্যে নিয়ে আসব।’’ টলিউডে কাজ না পাওয়া নিয়ে হিরণ যে অভিযোগ করেছেন, তার প্রেক্ষিতে অজিত বলেন, ‘‘হিরণ এমন কোনও বড় নায়ক হয়ে যাননি, যাঁকে নিয়ে মানুষ মাতামাতি করবেন। কারও যদি যোগ্যতা না থাকে, তা হলে প্রডিউসারেরা তাঁকে কেন নেবেন? মিঠুন চক্রবর্তী কি তৃণমূলে রয়েছেন? মিঠুন যদি সিনেমা করতে পারেন, হিরণ কেন করতে পারবেন না?’’
অজিতের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হিরণের সঙ্গে একাধিক বার আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।