Tala Bridge

টালার পর চিৎপুর ব্রিজ, উত্তরে আরও এক সেতুর স্বাস্থ্য সারাইয়ের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই

মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্যের সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়। তখনই টালা ও চিৎপুর সেতু ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। টালার কাজ শেষ, এ বার ভেঙে তৈরি হবে চিৎপুর ব্রিজ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:১৮
চিৎপুর সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে।

চিৎপুর সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে।

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিন নতুন টালা সেতুর উদ্বোধন হবে। তার পরেই চিৎপুর সেতু নতুন করে তৈরির কাজে হাত দেবে পূর্ত দফতর। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্যের সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করে রাজ্য সরকার। সেই পর্যায়ে টালা ও চিৎপুর সেতু ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আগে টালা সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত হওয়ায় চিৎপুর সেতু নির্মাণ পিছিয়ে যায়। বিপজ্জনক এই সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে। সোমবার কলকাতা পুরসভায় চিৎপুর সেতু নির্মাণ নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব খলিল আহমেদ, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার এবং কেএমডিএ ও পুরসভার আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ১ নম্বর বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুমন সিং। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সার্ভের কাজ শেষ করেছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)।

Advertisement

চিৎপুর সেতুর কাছে ৮০টি পরিবার থাকে। তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যাপারে পুরসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যেই তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে পুর কর্তৃপক্ষ।

পুরসভা সূত্রে খবর, পার্শ্ববর্তী রেলের একটি জমিতে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলকে জমিটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পুরসভা। প্রয়োজনে পূর্ব রেলকে বার্ষিক ভাড়া দিতে রাজি রাজ্য সরকার। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই পুরসভা সূত্রে খবর। টালা-সহ পূর্ত দফতরের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী পুলক রায়। তিনিও টালা সেতুর উদ্বোধনের পরেই চিৎপুর সেতু নিয়ে কাজ শুরু করতে চান। তবে তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। তবে স্থানীয় স্তরে সমস্যা নিয়ে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বোরো চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলারকে। এ ক্ষেত্রে পূর্ত দফতর ভরসা রাখছে কলকাতা পুরসভার ওপরেই। তাদের পুনর্বাসন দিয়ে অন্যত্র পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাবে তাদের রাজি করানোই বড় চ্যালেঞ্জ কলকাতা পুরসভার।

আরও পড়ুন
Advertisement