Tallah Bridge

২৪ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হলেও নতুন টালা ব্রিজে ভারী যান চলাচল পঞ্চমী থেকে

আপাতত ঠিক হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টালা সেতুর উদ্বোধনের পরেই কেবল মাত্র ছোট গাড়ি চলাচল করবে। তার পর পরীক্ষামূলক ভাবে সাত দিন নজর রাখবে পূর্ত দফতর ও কলকাতা পুলিশ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:০৫
নবনির্মিত টালা সেতুর উদ্বোধন হবে ২৪ সেপ্টেম্বর। উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবনির্মিত টালা সেতুর উদ্বোধন হবে ২৪ সেপ্টেম্বর। উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র

মহালয়ার এক দিন আগেই টালা ব্রিজের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, ওই দিন রাত থেকেই নতুন টালা ব্রিজে যান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। তবে তা নিয়ন্ত্রিত গতিতে। সঙ্গে আয়তনের ওপর রাশ টেনে। আপাতত ঠিক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী টালা সেতুর উদ্বোধনের পরেই কেবল মাত্র ছোট গাড়ি চলাচল করবে। তার পর পরীক্ষামূলক ভাবে সাত দিন তাতে নজর রাখবে পূর্ত দফতর ও কলকাতায় পুলিশ। তারপর সাত দিন পর থেকে পুরোদমে বাস, ট্যাক্সি, ভারী মালবাহী পণ্য যান চলাচল করবে।

নবান্ন সূত্রে খবর, নতুন টালা সেতুকে শহরবাসীর জন্য শারদোৎসবের উপহার হিসেবেই দেখছে। তাই মহালয়ার দিন সেতু উদ্বোধনের পর তাতে স্বাভাবিক যান চলাচল না করে, সেখানে পরীক্ষামূলক ভাবে তুলনামূলক ছোট গাড়ি চালানোর পক্ষপাতী রাজ্য সরকার। আর পঞ্চমীর দিন শারদোৎসবের আলোর রোশনাইয়ে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা সব রকম পরীক্ষা করে সেতু উদ্বোধনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও উদ্বোধনের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সরকারি নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাই ২৪ তারিখ উদ্বোধন হলেও, ৩০ তারিখেই তা পুরোপুরি খুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। সেই সময় পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে কলকাতা শহরের বাকি সেতুগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময় টালা সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তা সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন করে তৈরি করার বিষয়ে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। সেই মতো টালা সেতু ভেঙে নতুন করে ফের তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে নতুন মাঝেরহাট সেতুর উদ্বোধন হয়। সেই সময়ও সাত দিনের জন্য নতুন সেতুর উপর যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল কলকাতা পুলিশ-সহ পূর্ত দফতর। এ ক্ষেত্রেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলেই দাবি পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের।

আরও পড়ুন
Advertisement