বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ বেহালার তরুণ, দেহ মিলল উলুবেড়িয়ার খাল থেকে, তদন্তে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
১৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি ছেলে। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বেহালা থানা। নিখোঁজ তরুণের ছবি-সহ যাবতীয় তথ্য পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট সব মহলে। এরই মধ্যে উলুবেড়িয়া থানা থেকে খবর আসে যে, হাওড়ার হীরাপুর-কাঁটাখালি গ্রামের কাছে একটি ইটভাটা লাগোয়া খাল থেকে এক অজ্ঞাপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার পরই খবর দেওয়া হয় নিখোঁজ তরুণের বাবাকে। তিনি মৃতদেহটি দেখে দাবি করেন, এটি তাঁর নিখোঁজ ছেলের দেহ।
১৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি বেহালার সেনহাটি কলোনির বাসিন্দা ১৯ বছরের হার্দিক দাস। থানায় ছেলেকে অপহরণ করার অভিযোগ দায়ের করেন হিমাদ্রি দাস। তদন্ত চলাকালীন উলুবেড়িয়া থানা থেকে দেহ উদ্ধারের খবর পেয়েই বেহালা থানার তরফে খবর দেওয়া হয় হিমাদ্রিকে। ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের দেহ শনাক্ত করেন। তার পর উলুবেড়িয়া হাসপাতালে দেহটির ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেহের বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। সমস্ত প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ার পর তরুণের দেহটি তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। প্রাথমিক ভাবে এটিকে খুনের ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে এটি খুন না দুর্ঘটনা, খুন হলেও কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।