South 24 Pargana

‘বালিকা বধূ’কে ফিরে পেতে নিজের গলায় ছুরি ধরলেন ‘বীরু’! ভুলিয়ে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

নোদাখালির মায়াপুর এলাকার বাসিন্দা সোহেল পূজালী এলাকার এক নাবালিকাকে বিয়ে করেন দিন কুড়ি আগে। বিয়ে করার পর ছ’দিন তাঁরা সংসারও করেন। তার পর পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় সোহেলকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
পূজালী শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৩৬
থানার সামনে সোহেল।

থানার সামনে সোহেল। —নিজস্ব চিত্র।

‘শোলে’ সিনেমায় বাসন্তী (হেমা মালিনী)-কে বিয়ে করার জন্য জলের ট্যাঙ্কে চড়ে বসেছিলেন বীরু (ধর্মেন্দ্র)। ভান করেছিলেন আত্মহত্যার। কিছুটা সেই পন্থা নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালীর ‘বীরু’ শেখ সোহেল। নাবালিকা প্রেমিকাকে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ফিরে পেতে সিনেমার কায়দায় নিজের গলায় ছুরি ধরে থানার সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন যুবক। শুক্রবার বিকেলে এমন দৃশ্যে চমকে ওঠে পূজালী থানার পুলিশ। অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে ছুরিটি ওই যুবকের হাত থেকে কেড়ে নেন পুলিশকর্মীরা। আটক করা হয় তাঁকে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নোদাখালির মায়াপুর এলাকার বাসিন্দা সোহেল পূজালী এলাকার এক নাবালিকাকে বিয়ে করেন দিন কুড়ি আগে। বিয়ে করার পর ছ’দিন তাঁরা সংসারও করেন। অন্য দিকে, নাবালিকার বাড়ির লোক জন পূজালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর শেখ সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বেশ কিছু দিন জেল হেফাজতে থাকার পর ছাড়া পান যুবক। শুক্রবার সোহেল তাঁর বাবাকে নিয়ে পূজালী থানায় হাজিরা দিতে যান। কিন্তু থানা থেকে বেরিয়েই সোহেল দাবি করেন, তাঁর বিয়ে হয়েছে।

Advertisement

ওই ভাবে প্রায় ৩ ঘণ্টা নিজের গলায় ছুরি ধরে থানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন ওই যুবক। তাঁর দাবি, যাকে ভালবাসেন তার সঙ্গে থাকতে দিতেই হবে। ও দিকে, পুলিশকর্মীরা দীর্ঘ ক্ষণ ধরে যুবককে শান্ত হতে বলেন। হাতের ছুরি বলে দিতে অনুরোধ করে পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছে না সোহেল। পরে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement