Baruipur Accident

বারুইপুরে বেপরোয়া গতির বলি দুই, ট্রাকের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষে দুই সব্জি বিক্রেতার মৃত্যু, আহত চার

স্থানীয় সূত্রে খবর, সূর্যপুর হাট থেকে সব্জি কিনে বিক্রির জন্য কলকাতায় আসছিল গাড়িটি। গাড়িতে বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী ছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ০৮:১৬
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

সব্জির গাড়ি এবং ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বারুইপুরে মৃত্যু হল দুই ব্যবসায়ীর। শনিবার সকালে বারুইপুর থানার সাহাপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় চার জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। কী করে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব্জির গাড়ির চালক পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্য দিকে, ট্রাকচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম বিমল সর্দার। তাঁকে শনিবারেই বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, সূর্যপুর হাট থেকে সব্জি কিনে বিক্রির জন্য কলকাতায় আসছিল গাড়িটি। গাড়িতে বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী ছিলেন। সাহাপাড়া এলাকা দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। সেই সময় বারুইপুরের দিক থেকে জয়নগরের দিকে যাচ্ছিল একটি বালিবোঝাই ট্রাক। ট্রাকটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সব্জির গাড়িতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই সব্জি বিক্রেতার। আহত হন আরও চার জন। এর পরেই স্থানীয়েরা তাঁদের উদ্ধার করে গুরুতর জখম অবস্থায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করানো হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

এই ঘটনায় বারুইপুর এলাকার বাসিন্দারা পথসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, প্রতি দিনই সকালবেলায় এই এলাকায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি যাতায়াত করে। যার ফলে প্রায়ই এই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশের কড়া নজরদারি এবং বাম্পারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘এই এলাকায় বাম্পার দরকার। পুলিশের নজরদারিও প্রয়োজন। না হলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement