শুক্রবার সকালে ভাঙড়ের কোচপুকুরে উত্তেজনা। — নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ তৃণমূলের আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার পরের দিন সকালেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। দলীয় পতাকা লাগানো কেন্দ্র করে আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, উত্তেজিত কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ন’জনকে আটকও করা হয়েছে। পুলিশ তাঁদের উত্তর কাশিপুর থানায় নিয়ে গিয়েছে।
ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কোচপুকুরে দলীয় পতাকা লাগানো কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের কিছু কর্মী ওই এলাকায় দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেখানে আগে থেকে আইএসএফের পতাকা লাগানো ছিল। সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল কর্মীরা। আইএসএফ কর্মীরা তার প্রতিবাদ করলে বচসা শুরু হয়।
তৃণমূলের তরফে পাল্টা দাবি, আইএসএফের পতাকা আগে থেকেই নীচে পড়ে ছিল। পতাকা ছেঁড়ার কথা তাঁরা অস্বীকার করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বচসায় ক্রমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে খবর। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে র্যাফও।
বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা আরাবুলকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দলবদ্ধ ভাবে আক্রমণের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরাবুলকে রাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল লালবাজারে। সেখানকার লকআপেই ছিলেন তিনি। পুলিশের একটি সূত্রের বক্তব্য, যে হেতু আরাবুলের মতো নেতার গ্রেফতারির ঘটনা ‘স্পর্শকাতর’, তাই তাঁকে স্থানীয় থানায় না নিয়ে গিয়ে সোজা লালবাজারে আনা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হবে।
আরাবুলের গ্রেফতারির পরের দিন ভাঙড়ের পোলেরহাট হাই স্কুলের পাশের আবর্জনার স্তূপ থেকে তাজা বোমাও উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভাঙড়ের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।