থানায় অভিযোগ করেছেন ‘আক্রান্ত’ ছাত্র। —নিজস্ব চিত্র।
প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে শারীরিক এবং মানসিক হেনস্থার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর নেতাজি শতবার্ষিকী কলেজে। র্যাগিংয়ের অভিযোগ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন অভিনন্দন মুখোপাধ্যায় নামে ওই ছাত্র। তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) ‘দাদারা’ ইউনিয়ন রুমে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করেছেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলেজে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি।
প্রথম বর্ষের ছাত্র অভিনন্দনের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর প্রথম সেমেস্টারের মার্কশিট আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিয়ন রুমে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। কেন তাঁকে মারধর? অভিযোগকারী ছাত্রের অভিযোগ, তিনি এসএফআই করেন। এই ‘অপরাধে’ তাঁকে প্রায় আধ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়। এর পর দ্বিতীয় দফায় ১৫ মিনিট অকথ্য গালিগালাজ করা হয়। সেই সময় মারধর করা হয়। ওই ছাত্রের এ-ও দাবি, তাঁকে র্যাগিং করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার এসএফআইয়ের পোস্ট সমাজমাধ্যম থেকে ‘ডিলিট’ করে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ এবং ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ লিখে পোস্ট করতে বলা হয়।’’ তিনি রাজি না হয় তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়। ওই সময় এক পড়ুয়া এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীর দাবি, শুধু কলেজের ছাত্রেরাই নয়, আক্রমণকারীদের মধ্যে বেশ কয়েক জন বহিরাগত ছিলেন। এ নিয়ে অশোকনগর থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি।
অন্য দিকে, প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের অভিযোগ প্রসঙ্গে বারাসত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সোহম পালের কটাক্ষ, ‘‘এই সব বাম অতিবাম সংগঠনগুলো যাদবপুরে কাণ্ড ঘটিয়েছে (ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে ইঙ্গিত করে)। এখন এরা ওই সমস্ত ঘটনা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য রাজ্যের বিভিন্ন কলেজেই এমন অভিযোগ তুলছে।’’