Sundarbans

গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘ আর চোরাশিকারিদের উপর নজর রাখতে সুন্দরবনে কর্মশালা বন দফতরের

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন, আটটি রেঞ্জের বনকর্মী-সহ কুলতলির দেউলবাড়ি, গুড়গুড়িয়া ও মৈপিঠ অঞ্চলের পিআরপি সদস্যেরা ছিলেন প্রশিক্ষণ শিবিরে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৫২
An image of the meeting

বন দফতরের প্রশিক্ষণ শিবির সুন্দরবনে। —নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ দিন ধরেই বাদাবন আর তার বাসিন্দা বন্যপ্রাণীদের রক্ষায় নজরদারি বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিচ্ছিল বন দফতর। এ বার সেই উদ্দেশ্যে হল নতুন পদক্ষেপ। বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস উপলক্ষ্যে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ (ডব্লিউটিআই)-র পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের বনকর্মী ও আধিকারিক ও গ্রামবাসীদের নিয়ে আধুনিক ড্রোনের পরিচালনার প্রশিক্ষণের আয়োজনের পর এ বার হল মানুষ-বন্যপ্রাণ সংঘাত ঠেকানোর জন্য কর্মশালা।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন, আটটি রেঞ্জের বনকর্মী-সহ কুলতলির দেউলবাড়ি, গুড়গুড়িয়া ও মৈপিঠ অঞ্চলে ডব্লিউটিআই-প্রশিক্ষিত প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দল (প্রাইমারি রেসপন্স টিম বা পিআরপি) সদস্যদের নিয়ে মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত প্রশমন প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। তিনি জানান, সুন্দরবন অঞ্চলে শীতকালে অধিকাংশ সময় বাঘ গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করে এবং মানুষ-বাঘ সংঘাত পরিস্থিতি তৈরি হয়। তা এড়াতেই এই উদ্যোগ।

এই কর্মশালায় প্রশিক্ষার্থীদের মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাতের মূল কারণ, তার ফলাফল ও সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সংঘাত-পরিস্থিতিতে ‘করণীয়’ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। ডিএফও-র পাশাপাশি প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের সহ-বনাধিকারিক শ্রী চিন্ময় বর্মন এবং ডব্লিউটিআই-এর সনাতন ডেকা, প্রসেনজিৎ শীল ও সম্রাট পাল। এই ধরনের কর্মশালা ভবিষ্যতে মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত মোকাবিলায় ও প্রশমনে যথেষ্ট সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় বনাধিকারিক।

Advertisement
আরও পড়ুন