লেবানন ভূখণ্ড থেকে হামলা ইজ়রায়েলে। ছবি: রয়টার্স।
দক্ষিণের গাজ়া সীমান্তের পরে এ বার হামলা উত্তরের লেবানন ভূখণ্ড থেকে। বুধবার রাতে লেবানন সীমান্তবর্তী ইজ়রায়েলি শহর বেইট শিয়ান, সাফেদ এবং টাইবেরিয়াসের উপর অজ্ঞাত পরিচয় আকাশযান থেকে হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, লেবাবনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লার ড্রোন হানা দিয়েছে ইজ়রায়েল ভূখণ্ডে।
এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েল সেনা লেবানন সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ যাওয়ার সতর্কবার্তা জারি করেছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, লেবানন সীমান্তবর্তী একাধিক শহর থেকে বিমানহানার সতর্কবার্তাবাহী সাইরেনের শব্দ শোনা গিয়েছে। ইজ়রায়েল সেনার একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার নেপথ্যে লেবাননের বায়ুসেনার ‘ভূমিকা’ও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনাচক্রে, বুধবার সকালেই ইরানের মদতপুষ্ট হেজবুল্লা বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইজ়রায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। একটি বিবৃতি জারি করে লেবাননের ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘প্যালেস্তাইনকে ইউক্রেন ভাবলে ভুল করবে অন্যেরা। বাইরের কোনও শক্তি ইজ়রায়েল এবং হামাসের সংঘাতে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কয়েক ঘণ্টা পরেই হেজবুল্লা সেই ‘পাল্টা ব্যবস্থা’ নেওয়ার পথে হাঁটল বলে কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হেজবুল্লা বাহিনীতে রয়েছেন লক্ষাধিক যোদ্ধা। অতীতে বেশ কয়েক বার ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ লড়াই চালিয়েছে তারা। গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে হামাসের রকেট হামলার পরেই তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল লেবাননের ওই শিয়া যোদ্ধাগোষ্ঠী। উপস্থিতি জানান দিতে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে ‘প্রতীকী হামলা’ চালানো হয়েছিল। বুধবার হামাস-ইজ়রায়েল পঞ্চম দিনের লড়াইয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩,৬০০ ছুঁয়েছে। রণাঙ্গনে হেজবুল্লা অংশ নিয়ে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।