শওকত মোল্লা। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটনাবহুল ভাঙড় থানা সদ্য কলকাতা পুলিশের ডিভিশন হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তাপ অব্যাহত। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লার ‘হুঁশিয়ারি’ নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। রবিবার কার্যত প্রশাসনকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন শওকত। যা নিয়ে সরব হয়েছে আইএসএফ এবং বিজেপি।
রবিবার ভাঙড়ের বোদরা অঞ্চলের খড়গাছিতে একটি প্রতিবাদ সভা এবং বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে তৃণমূল। সেখানে নাম না করে মূলত আইএসফকে নিশানা করে শওকত বলেন, ‘‘রাজনৈতিক লড়াইয়ে দু-এক জন খুন হলেও শত্রুর সঙ্গে এক ইঞ্চিও কম্প্রোমাইজ করব না।’’ এখানেই থামেননি তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রশাসন যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়, তা হলে তাঁদের শাস্তি এখানকার জনগণের থেকে পেতে হবে। শুধু তাই নয়, তাদের বোদরা এলাকায় ‘জিনা হারাম’ করে দেব! দায়িত্ব নিয়ে আমি বলে যাচ্ছি।’’ শওকতের একাধিক মন্তব্যে বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু শওকত আছেন শওকতেই। তৃণমূল বিধায়কের এ বারের মন্তব্যকে আরও ‘গুরুতর’ হিসাবে দেখছেন বিরোধীরা। তাঁদের ব্যাখ্যা, বিধায়ক কার্যত আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার জন্য জনগণকে ফুঁসলাচ্ছেন।
বস্তুত, দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে খড়গাছিতে আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে অশান্তি হয়। প্রেক্ষিতে সভা করে তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, তাদের তিন কর্মীর উপর হামলা হয়েছে। তাঁরা সবাই গুরুতর জখম হয়েছেন। রবিবারের সভা তারই প্রতিবাদে। সেখানে শওকতের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, ‘‘রাজনীতি করতে এসে খুনোখুনি কেন করতে হবে? মানুষের যাকে পছন্দ তাকেই বেছে নেবে। আর শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ ভাবে ভোট হলে ভাঙড়ের মাটিতে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘রক্তারক্তি না হলে ভাঙড়ের মাটিতে তৃণমূল থাকতে পারবে না। তাই আগে থেকে ভয় পেয়ে শওকত মোল্লারা এ সব বলছেন।’’ স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘মানুষ আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। নিরপেক্ষ ভাবে ভোট হলে ভাঙড়ে তৃণমূল একটি ভোটও পাবে না।’’