শীতের মরসুমে রোগবালাই ঠেকিয়ে রাখতে ভরসা রাখবেন কোন জাদু পানীয়ে? ছবি: সংগৃহীত।
শীতের মরসুমে গরমাগরম হিঙের কচুরি কিংবা ছোলার ডালে হিং ফোড়ন— ভোজনরসিক বাঙালির বড়ই প্রিয়। উত্তর থেকে দক্ষিণ— ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে কমবেশি এই মশলা ব্যবহারের চল রয়েছে। তবে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা রোগব্যাধি সারাতেও হিঙের জুড়ি মেলা ভার! হেঁশেলের এই মশলায় ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট। আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী হিঙের জল আদতে সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই। জেনে নিন, হিং মেশানো জল খেলে ঠিক কী কী লাভ হয় শরীরের।
১) হিং জল বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে। যাঁদের হজমের সমস্যা আছে তঁদের জন্য এই পানীয় মোক্ষম দাওয়াই। হজম ভাল হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটখারাপ, পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নিয়ম করে এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন।
২) প্রতি দিন হিঙের জলে চুমুক দিলেই বয়স ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে। প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় হিংজল খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এই জল খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বেরিয়ে আসে, তাই ত্বকে ব্রণ ও ফুস্কুড়ির সমস্যাও কমে।
৩) শীতকাল মানেই শুকনো কাশি, গলা খুসখুস, শ্বাস নিতে অসুবিধা, নাক বন্ধ থাকা এ সব লেগেই থাকে। নিয়মিত হিংজল খেলে শীতকালে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। মরসুম বদলের সময় এই হিংজল খেলে শরীর ও ফুসফুস, দুই-ই চাঙ্গা থাকে।
৪) ঋতুস্রাবের সময়ে অনেক মহিলারই তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এই সময়ে হিংজল খেলে ওষুধের চেয়ে দ্রুত আরাম পাবেন। মাথাব্যথা করলেও এই পানীয় খেলে আরাম পাবেন।
৫) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, এমন রোগীদের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হিং শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বৃদ্ধি করে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি বেশ উপকারী।
কী ভাবে হিং মেশানো জল তৈরি করবেন?
অর্ধেক চামচ হিং গরম জলে মিশিয়ে নিন। রোজ সকালে খালি পেটে এই জল খেতে হবে। তবেই মিলবে সবচেয়ে ভাল ফলাফল।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক সমস্যা বা রোগ থাকলে এই পানীয় খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।