Haroa Assembly by-election

নাম ঘোষণা হতেই হাড়োয়ার তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার! দাবি, ‘বহিরাগত নয়, ভূমিপুত্রকে চাই’

প্রার্থিতালিকা ঘোষণার আগে থেকেই ভূমিপুত্রকে টিকিট দেওয়ার দাবিতে সরগরম হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্র। প্রার্থী হতে চেয়ে অনেক নামের আবেদন জমা পড়েছিল তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাড়োয়া শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৪৫
Posters against Rabiul Islam in Haroa after the release of the candidate list of TMC

(বাঁ দিকে) রবিবার নির্বাচনী প্রচারে হাড়োয়ার তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলাম এবং বিতর্কিত পোস্টার (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

আসন্ন উপনির্বাচনে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে রবিউল ইসলাম। প্রার্থিতালিকা প্রকাশ হতেই বিধানসভা কেন্দ্রের শাসন এলাকায় বেশ কয়েকটি পোস্টার নজরে আসে। সেই সব পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, হাড়োয়া বিধানসভার উপনির্বাচনে কোনও বহিরাগত প্রার্থী চায় না জনগণ! ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করা হোক এমনও দাবি তোলা হয়েছে। পোস্টারগুলি তৃণমূলের কর্মিবৃন্দের তরফে সাঁটানো হয়েছে বলে পোস্টারে দাবি করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

প্রার্থিতালিকা ঘোষণার আগে থেকেই ভূমিপুত্রকে টিকিট দেওয়ার দাবিতে সরগরম হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্র। প্রার্থী হতে চেয়ে অনেক নামের আবেদন জমা পড়েছিল তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। সেই আবহেই প্রকাশ্যে এসেছিল একটি ফ্লেক্স। তাতে লেখা ছিল, ‘‘আসন্ন ১২১ হাড়োয়া বিধানসভার উপনির্বাচনে হাড়োয়া বিধানসভার ভূমিপুত্রকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় হাড়োয়া বিধানসভার সাধারণ জনগণ।’’ তৃণমূলের কর্মিবৃন্দের নামে সেই ফ্লেক্স ছাপানো হয়েছিল। যদিও সেখানে কারও নাম উল্লেখ ছিল না। রবিবার দুপুরে তৃণমূল উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার পরে আবারও এই মর্মে পোস্টার পড়ল।

শাসন এলাকায় যে সব পোস্টার নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, প্রার্থী হিসাবে রবিউলকে মানছে না তারা। কোনও পোস্টারে লেখা, ‘‘হাড়োয়া বিধানসভায় বহিরাগত প্রার্থী চায় না তৃণমূল।’’ আবার কোনও পোস্টারে লেখা, ‘‘নিচুতলার কমিটিদের না জানিয়ে টাকার বিনিময়ে বহিরাগত প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।’’ কে বা কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এমন পোস্টার প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তি বেড়েছে বাংলার শাসকদলের। পোস্টার বিতর্ককে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। এলাকার সিপএম নেতা আহমেদ খান বলেন, ‘‘উপনির্বাচন হোক বা পঞ্চায়েত, সব নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হতে গেলে লাখ লাখ টাকা পার্টি তহবিলে জমা করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এখন যাঁরা ভূমিপুত্রের দাবিতে আওয়াজ তুলছেন, কিছু দিন পর তাঁরাও চুপ হয়ে যাবেন। কারণ সকলেই পঞ্চায়েতে লুট করে খাচ্ছেন।’’

বসিরহাটের প্রয়াত সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের পদত্যাগের কারণে খালি হওয়া এই বিধানসভার আসনে দাবিদার অনেকে। বসিরহাট লোকসভায় জয়ী হওয়ার পর তিনি বিধায়ক পদ ছেড়েছিলেন। কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি প্রয়াত হয়েছেন। আর তাঁর শূন্যস্থান পূরণে দলীয় নেতৃত্বকেও প্রার্থী ঠিক করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত হাজি নুরুলের ছেলে রবিউলকেই প্রার্থী করে তৃণমূল। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে হাড়োয়া ব্লকের কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। যা নিয়ে দলের নিচুতলার মধ্যে মাঝেমধ্যেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশ দেখা গিয়েছে। অনেকেই আশা করেছিলেন, উপনির্বাচনে হয়তো স্থানীয় কাউকে প্রার্থী হিসাবে বাছবে তৃণমূল। অন্য দিকে, প্রার্থিতালিকা ঘোযণার পরই প্রচার অভিযান শুরু করে দিলেন রবিউল। রবিবার গোলাবাড়ি বাজার এলাকায় তাঁকে প্রচার সারতে দেখা গেল।

আরও পড়ুন
Advertisement