Sagar Dutta Medical College

সাগর দত্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা, পরিবারের দাবি, ‘মত্ত’ ছিলেন চিকিৎসক

সোমবার রোগীকে ব্যারাকপুর বিএন বোস মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রোগীর জ্বর ছিল। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস এবং হৃদ্‌রোগেরও সমস্যা ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কামারহাটি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৮
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে উত্তেজনা।

সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে উত্তেজনা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সেই নিয়ে হাসপাতালে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। রোগীর পরিবারের দাবি, তাঁকে যে চিকিৎসক দেখছিলেন, তিনি মত্ত ছিলেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই দাবি মানেননি। তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগে।

Advertisement

মৃতের নাম প্রশান্তকুমার সাউ। তাঁর বয়স ৪৯ বছর। টিটাগড় এম্পায়ার জুট মিলে কাজ করতেন তিনি। তার পর টিটাগড়ে একটি হোটেলের ব্যবসা করতেন। টিটাগড় তালপুকুর এম্পায়ার জুট মিলের ১ নম্বর লাইনে থাকতেন তিনি। সোমবার তাঁকে ব্যারাকপুর বিএন বোস মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রোগীর জ্বর ছিল। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস এবং হৃদ্‌রোগেরও সমস্যা ছিল। মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে এক বোতল রক্ত দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে সেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে রেফার করা হয়। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ প্রশান্তকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের গাফিলতি এবং দীর্ঘ ক্ষণ সেখানে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার জন্য রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তিনি ঠিক ভাবে কথা বলতে এবং লিখতে পারছিলেন না। রোগীর ইসিজি করানো হয়। সেই রিপোর্টও ঠিক মতো দেখতে পারছিলেন না। পরিবারের আরও অভিযোগ, রোগীর মৃত্যুর পরেও চিকিৎসক বলে গিয়েছেন, চিকিৎসা চলছে। তিনি বেঁচে রয়েছেন। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ (এমএসভিপি) সুজয় মিস্ত্রি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে চিকিৎসককে ডেকে পাঠাই। রোগীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলি। তিনি জানিয়েছেন, কাজের সময় তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল।’’ সুজয় জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসককে হাসপাতালে মনোরোগ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করবেন। তবে ওই চিকিৎসক মত্ত ছিলেন, এ কথা মানতে চাননি সুজয়। তাঁর দাবি, ওই চিকিৎসক সোমবার রাতে এই হাসপাতালের কাজে নিযুক্ত হন। তাঁর নাইট ডিউটি ছিল। মত্ত হলে সারা রাত তিনি ডিউটি করতে পারতেন না। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম উত্তম কানরি। তিনি বীরভূমের বাসিন্দা। নৈহাটি হাসপাতাল থেকে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় উত্তপ্ত সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে র‍্যাফ এবং পুলিশবাহিনী।

আরও পড়ুন
Advertisement