Fraud

পরিচয়পত্র হাতিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি, গ্রেফতার দোকানি

ধৃত নরেশ বিশ্বাসকে সোমবার রাতে বাজিতপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৪০
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নরেশের বাড়ি বাগদার সন্তোষ কলোনি এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নরেশের বাড়ি বাগদার সন্তোষ কলোনি এলাকায়। —প্রতীকী চিত্র।

পরিচয়পত্র হাতিয়ে অন্যের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বাগদা থানার পুলিশ। ধৃত নরেশ বিশ্বাসকে সোমবার রাতে বাজিতপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেশের বাড়ি বাগদার সন্তোষ কলোনি এলাকায়। বাজিতপুর বাজারে তার অনলাইনে কাজকর্মের দোকান রয়েছে। স্থানীয় মানুষ বিভিন্ন কাজে সেখানে আসতেন তাঁদের পরিচয়পত্র নিয়ে। সেখানে ফোটোকপি করারও ব্যবস্থা রয়েছে।

অভিযোগ, নরেশ ফোটোকপি করার অছিলায় অনেকের পরিচয়পত্র হাতিয়ে তাঁদের নামে সংস্থা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে আর্থিক লেনদেন করত। সম্প্রতি বাজিতপুরের প্রণব বিশ্বাস জানতে পারেন, তাঁর নামে একটি সংস্থা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছে নরেশ। এর পরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগদা এলাকার বহু মানুষ কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা অনেকে নরেশের মাধ্যমে অনলাইনে ওই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতেন। নরেশ ওই টাকা তুলে প্রেরকদের আত্মীয়-পরিজনদের কাছে পৌঁছে দিত। বিনিময়ে কমিশনও পেত সে।

কিন্তু কেন সে অন্যের নামে এমন অ্যাকাউন্ট খুলত? পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সাধারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হলে সরকারি বা আয়কর দফতরের নজরদারির আওতায় চলে আসার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে অনেকে নরেশের তৈরি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘নিরাপদ’ মনে করে সেখানে টাকা পাঠাতেন। নরেশ সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছিল। তবে এর পিছনে বড়সড় কোনও বেআইনি আর্থিক প্রতারণা চক্র জড়িত আছে কিনা, পুলিশ তা-ও খতিয়ে দেখছে।

Advertisement
আরও পড়ুন