Basirhat

বসিরহাটে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার ঘটনায় পাকড়াও আরও এক, মূল অভিযুক্ত আয়ুব এখনও অধরা

শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মী আলতাফ মালি বসিরহাট থানার পিফা এলাকার বাঁশতলার একটি দোকানে ছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে তাঁকে গুলি করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ১১:৫০
arrest

—প্রতীকী চিত্র।

বসিরহাটে তৃণমূল কর্মী আলতাফ মালিকে গুলি করার ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম তোয়েব আলি মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে তোয়েবকে গ্রেফতার করা হয়েছে পিফার দাসপাড়া এলাকা থেকে। গুলিকাণ্ডে এ নিয়ে মোট দু’জনকে পাকড়াও করল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের একটি সূত্রে খবর, ধৃত জিয়ারুল গাজিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তোয়েবের নাম জানতে পেরেছে তারা। যদিও থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে তাঁর নাম নেই। ধৃত দু’জনকে চার দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মী আলতাফ বসিরহাট থানার পিফা এলাকার বাঁশতলার একটি দোকানে ছিলেন। কেনাকাটার সময় তাঁকে পিছন থেকে এসে গুলি করা হয়। গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। দুষ্কৃতীদের ধরতে কয়েক জন তাড়াও করেন। সে সময়ই অভিযুক্তের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ পাওয়া যায় স্থানীয় একটি দোকানে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই ব্যাগে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বসিরহাট থানার পুলিশ।

এই গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পিফা এলাকা। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। শঙ্করপুর এলাকায় একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ওই দোকানে ‘ওঠাবসা’ ছিল অভিযুক্ত আয়ুবের। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আহত তৃণমূল কর্মীর বাবা।

অন্য দিকে, আরজি কর হাসপাতালে আলতাফের অস্ত্রোপচার হয়েছে। যেগুলি তাঁর শরীর বিদ্ধ করেছিল, তা দেহ থেকে বার করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, আলতাফ আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement