Hasnabad

হাসনাবাদে বেআইনি লটারির দোকান ভাঙচুর, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুল আছে। সেই স্কুলের পাশেই গড়ে উঠেছে বেআইনি মদের ব্যবসা এবং অনলাইন লটারির ব্যবসা। এলাকার মানুষ একাধিকবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৩
লটারির দোকানে ভাঙচুর স্থানীয়দের।

লটারির দোকানে ভাঙচুর স্থানীয়দের। —নিজস্ব চিত্র।

হাসনাবাদে বেআইনি লটারির দোকানে ভাঙচুর চালালেন স্থানীয়েরাই। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দিনভর বিক্ষোভ চলল গ্রামবাসীদের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদ থানার ন্যাজাট রোডের নোয়াপাড়া এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুল আছে। সেই স্কুলের পাশেই গড়ে উঠেছে বেআইনি মদের ব্যবসা এবং অনলাইন লটারির ব্যবসা। এলাকার মানুষ একাধিকবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এর পরেই এলাকার মহিলারা একজোট হয়ে লটারি ও মদের ব্যবসা বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। শেষে লটারির দোকানটির উপরেও চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাখী হালদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে অধিকাংশ মানুষই দিন আনি-দিন খাই। তাঁরা সারাদিন খেটে যা আয় করেন, সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে সেই টাকা দিয়ে মদ খেয়ে আর অনলাইন লটারি খেলে সব টাকা শেষ করে বাড়ি যান। আমার নিজের স্বামীই গত দু’দিন আগে মদ খেয়ে লটারি খেলে সারারাত বাড়ি ফেরেননি। রাস্তার ধারে পড়ে ছিলেন। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পর ভোরে রাস্তার ধারে খুঁজে পাই। আমরা গ্রামের মহিলারা কত বার পুলিশকে বলেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।’’ মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের দলে ছিলেন রাখীও।

এই বিষয়ে মদের ব্যবসায়ী দীপা দাস অবশ্য বলছেন, ‘‘আমি ছাড়াও এই এলাকায় আরও অনেক মদের ব্যবসায়ী আছেন। তাঁরা ব্যবসা বন্ধ করুন, তা হলে আমিও বন্ধ করে দেব।’’ দীপার যুক্তি, ‘‘আমরা মদ বিক্রি করি সেটা পুলিশ জানে। যে রক্ষক, সে-ই ভক্ষক।’’ কিন্তু লটারির যে দোকানটিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল, তাঁদের কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement