চলছে দোকান ভাঙার কাজ। নিজস্ব চিত্র ।
জল জীবন মিশন প্রকল্পের পাইপলাইনে বসানো কাজ চলছে। আর পাইপলাইন বসাতে গিয়ে ভাঙা পড়ছে রাস্তার পাশের শ’য়ে শ’য়ে দোকানঘর, বাড়ি। কুলপি মোড়ের কাছে পাইপলাইন বসানোর আগে দোকান ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজের পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে বছর কয়েক আগে থেকে। নোদাখালির জলপ্রকল্প থেকে ফলতা হয়ে বিভিন্ন ব্লকে পাইপ লাইনের সাহায্যে জল পৌঁছে যাবে। ইতিমধ্যে ব্লকে ব্লকে রিজ়ার্ভার তৈরি হয়ে গিয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছনোর জন্য পাইপ লাইনের কাজ চলছে।
ডায়মন্ড হারবার থেকে কুলপি হয়ে পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে ভাঙা পড়ছে রাস্তার পাশের দোকানঘর, বাড়ি। কুলপির ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কুলপি মোড়ের পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। তার আগেই প্রশাসন থেকে মাপজোক করে গিয়েছে। সড়কের শেষ অংশ থেকে প্রায় ১৬ ফুট ফাঁকা করার নির্দেশ এসেছে। এই অংশ ফাঁকা করতে গিয়ে কুলপি মোড়ে সম্পূর্ণ ভাঙা পড়ছে বেশ কিছু দোকান, ঘরবাড়ি। জীবন-জীবিকা টান পড়ছে বলে দাবি দোকানিদের। তাঁরা জানান, জাতীয় সড়কের কাকদ্বীপের দিকে যাওয়া বাঁ দিকের দিয়ে রাস্তা পাইপলাইন বসানো হচ্ছে। ফলে ওই দিকে দোকানগুলি রাস্তার শেষ অংশ থেকে পাঁচ-ছ’ফুট দূরে ছিল। এই ১৬ ফুট ফাঁকা করতে গিয়ে পুরো দোকানটাই পড়ে যাচ্ছে।
মোড়ের এক দোকানি সুবল মণ্ডল জানালেন, আনাজের দোকানটি ছিল সড়ক থেকে সাত-আট ফুট দূরে। কিন্তু ১৬ ফুট চওড়া করার ফলে দোকানের কিছু থাকছে না। সম্পূর্ণ দোকান ভেঙে ফেলতে হচ্ছে। কী ভাবে উপার্জনের পথ বের করবেন, তা নিয়ে চিন্তিত সুবল। তিনি বলেন, ‘‘এই অবস্থা শুধু আমার নয়। বহু দোকান সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’’ কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, ‘‘পাইপলাইন বসানোর জন্য জায়গা ফাঁকা করতে ব্যবসায়ীর সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সড়কের শেষ প্রান্ত থেকে ১৬ ফুট অংশ ফাঁকা করতে হবে। ১৬ ফুটের মধ্যে মধ্যে শেষ অংশে দু’টি পাইপলাইন বসাতে ছ’ফুট লাগবে। সড়কের পাশে বাকি ১০ ফুট ফাঁকা পড়ে থাকবে। তবে ওই ফাঁকা জায়গায় পরে দোকান করা যাবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলায় ভিন্ রাজ্য থেকে প্রচুর গাড়িতে করে পর্যটকেরা আসেন। কিন্তু জাতীয় সড়কের ডায়মন্ড হারবার থেকে কাকদ্বীপে যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি মোড়ে যানজটে আটকে পড়তে হয়। সেখানে কুলপি করঞ্জলি সহ চারটি মোড়ের ফাঁকা পড়ে থাকা ১০ ফুট জায়গায় ফুটপাত তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।’’