Canning Incident

স্কুলছাত্রীকে ‘ভুল বুঝিয়ে’ বাইকে করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা! যুবককে মারধরের অভিযোগ ক্যানিংয়ে

সোমবার রাতে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। ক্যানিং থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ০৯:৫৭
Locals beaten on charges of attempted child theft, detained accused

প্রতীকী ছবি।

স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল, সে সময়ই তার পথ আটকে দাঁড়ায় একটি বাইক। সেই বাইকের চালক ওই স্কুলছাত্রীকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তা নজরে আসতেই স্থানীয়েরা পথ আটকান। জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই অপরিচিত যুবকের কথায় অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে, ক্যানিংয়ের দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে ক্যানিং দ্বারিকানাথ বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী বাড়ি ফিরছিল। একাই ছিল সে। আচমকা তার রাস্তা আটকে দাঁড়ায় এক অপরিচিত যুবক। তার পরই ওই নাবালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দেবেন বলে জোরাজুরি করতে থাকেন। এমনকি তার বাবাকেও চেনেন বলে নাবালিকাকে জানান তিনি। প্রথমে বাইকে উঠতে অস্বীকার করে ওই নাবালিকা, তবে পরে মন বদলে বাইকে উঠতে যায়। সে সময় স্থানীয়েরা তাকে বাধা দেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি নামখানা ব্লকের মন্মথনগর গ্রামে। নাম তাপস মাপা। ওই নাবালিকাকে রাস্তার মধ্যে নিজের বাইকে তোলার চেষ্টা করায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরা কারণ জিজ্ঞাসা করলে এই যুবক সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি স্থানীয়দের। আর তার পরই তাঁকে বাইক থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি, ওই যুবক মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও দাবি স্থানীয়দের।

যদিও অভিযুক্ত যুবকের দাবি, নাবালিকাই তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েছিল, বাইকে কিছুটা এগিয়ে দিতে বলেছিল। সেটা করতে গিয়েই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় সোমবার রাতে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। ক্যানিংয়ের এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘একটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা এক যুবককে আটক করেছি। তদন্ত চলছে।"

নাবালিকার মা পিয়ালি নস্কর বলেন, ‘‘খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তার পর মেয়েকে নিয়ে বাড়ি আসি। এখনও ভয়ে আছি। দোষীর কঠোর শাস্তি চাই। আমার মনে হয়, মেয়েকে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।’’

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছেলেধরা সন্দেহে লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সব থেকে বেশি গণপিটুনির কথা শোনা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। আক্রান্ত কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য বার বার প্রচার করেছে পুলিশ। তার পরেও থামেনি গণপিটুনির ঘটনা। রাজ্য সরকারও এই সব ঘটনা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দিয়েছে নবান্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement