এ বার যাবতীয় ইচ্ছেপূরণ হবে, আশা কোটিপতি দীপক পাইনের। —নিজস্ব চিত্র।
মুদিখানার দোকানে ফাইফরমাশ খেটে কোনও রকমে সংসার চলে। মাটির বাড়ি তো দূরের কথা, মাথাগোঁজার ঠাঁই বলতে বাঁশের কাঠামোর উপর প্লাস্টিকের ছাউনি। তবে সেই ছাউনির মালিকই লটারির টিকিটে রাতারাতি কোটিপতি! মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাসিন্দা দীপক পাইনের জীবনটাই যেন এক লহমায় বদলে গিয়েছে।
দেগঙ্গার কলসুরের বাসিন্দা দীপক জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের ওই ছাউনির নীচেই গত ছ’দশক ধরে সংসার। স্বামী-স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলের সংসারে অভাব লেগেই রয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতে কোটি টাকার লটারি জেতার পর সে সব এখন অতীত।
কোটি টাকার লটারির টিকিট কেনাটাও খানিকটা আকস্মিক। ভেবেচিন্তে তা কেনেননি দীপক। তাঁর কথায়, ‘‘যে মুদিখানায় কাজ করি, তার মালিক (মঙ্গলবার) রাতে চা আনতে পাঠিয়েছিলেন। চায়ের দোকানের পাশেই লটারির টিকিট বিক্রি হচ্ছিল। সেখানে তখন আটটি টিকিট পড়েছিল। ওই দোকান থেকেই ধার করে লটারির টিকিটটা কিনি। রাতে বাড়ি ফেরার পর জানতে পারি, ওই লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছি।’’
এত টাকা কী ভাবে খরচ করবেন? এক গাল হেসে দীপক জানিয়েছেন, এ বার ছাউনি ছেড়ে পাকা বাড়ি করবেন। তিনি বলেন, ‘‘এ বার ঘরবাড়ি করব। একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ভাইয়েরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য কিছু করতে হবে। যাতায়াতের পথে একটি মন্দিরের ছাদ পাকা করে দেওয়ার ইচ্ছেও রয়েছে।’’
‘কোটিপতি’ দীপকের মনে আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। কী ভাবে এত টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাবেন? নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় সটান হাজির হয়েছেন দেগঙ্গা থানায়। পুলিশের কাছে তাঁর আর্জি, নিরাপদে টাকা যেন তাঁর হাতে আসে।