শশা হাতে ভাঙড়ের বাজারে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যানিং, বাসন্তী, ভাঙড়— পঞ্চায়েত ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অশান্ত এলাকাগুলি একে একে পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। কথা বলেছেন হিংসায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে। কলকাতা ফেরার পথে আচমকাই ভাঙড়ের পাগলাহাট বাজারে গিয়ে থামল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনভয়। গাড়ি থেকে নেমে গটগট করে বাজারের দিকে হেঁটে গেলেন রাজ্যপাল। তার পর একের পর এক সব্জির দোকানে গিয়ে কোন সব্জির কী দাম জানতে চাইলেন বোস। ঝুড়ি থেকে শশাও তুলে নিলেন হাতে। বিক্রেতাকে কেজি প্রতি কোন সব্জির মূল্য কত জানতে চাইলেন। একে একে জানতে চাইলেন কাঁচালঙ্কা, পটল, ঝিঙে, বরবটি ইত্যাদির দাম।
রাজ্যপাল কাঁচালঙ্কার দাম জিজ্ঞেস করায় এক বিক্রেতা বলেন, ‘‘৩০০ টাকা কেজি।’’ তাতে সানগ্লাস পরিহিত রাজ্যপালের ভ্রু খানিকটা কুঞ্চিত হল। এর পর ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন রাজ্যপাল। পরে সবাইকেই তিনি একটি ফোন নম্বর দিয়ে গেলেন। জানালেন, প্রয়োজন হলে তাঁর সঙ্গে এই নম্বরে ফোনে যোগাযোগ করা যাবে। এক বিক্রেতা আবার জানালেন, রাজ্যপাল তাঁকে জানিয়েছেন সব্জি কিনবেন তিনি। রাজভবনে নিয়ে যাবেন। ভাঙড়ের আর এক সব্জি বিক্রেতার কথায়, ‘‘উনি (রাজ্যপাল) আমার দোকানের সব্জি হাতে নিয়ে জানতে চাইলেন কোনটার দাম কত? আমি বলে দিলাম, কোনটার কী দাম। পাশের দোকানগুলিতেও তিনি দরদাম জানতে চান।’’ এর পর রাজ্যপাল বোস পাগলাহাট বাজার ঘুরে চলে যান টেরিটি বাজারে।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জানিয়েছেন তিনি সমস্ত উপদ্রুত এলাকায় যেতে চান। ক্যানিংয়ে সেচ দফতরের বাংলোয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শান্তিপূর্ণ, রক্তপাতহীন এবং অবাধ নির্বাচন করানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বার্তা দেন। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত ভোটের মরসুমে অগ্নিমূল্য বাজারে। আদা, কাঁচালঙ্কার দাম হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আনাজপাতির দামে ছ্যাঁকা খাচ্ছে মধ্যবিত্ত। বাজারে কেউ কেউ এমনও বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের জন্যই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিপত্রের এত দাম।’’