প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে বিতণ্ডায় বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী। — নিজস্ব চিত্র।
ডিএর দাবিতে ধর্মঘটের জেরে শুক্রবার বন্ধ ছিল স্কুল। ফলে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনও থমকে গিয়েছিল সেই দিন। ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতির কথা ভেবে রবিবার, ছুটির দিন চলছে স্কুল। স্কুলে হাজির ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। ছুটির দিনে ক্লাস হচ্ছে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার কনিয়াড়া যাদবচন্দ্র হাইস্কুলের শিক্ষকরা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে মিড ডে মিলেরও আয়োজন করেছেন রবিবার।
এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা জানাচ্ছে, ধর্মঘটের ফলে ক্লাস হয়নি। পঠনপাঠনে ঘাটতি হয়েছে। তাই রবিবার স্কুলে এসেছে তারা। কনিয়াড়া যাদবচন্দ্র হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক অনুপম সর্দার বলেন, ‘‘ধর্মঘটের দিন সমস্ত শিক্ষক বলেছিলেন তাঁরা স্কুলে আসবেন না। স্কুলের সকলে মিলে সিদ্ধান্ত হয়, রবিবার স্কুল চালু রাখা যেতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারাও স্কুলে আসবে বলে জানায়। তাই সর্বসম্মতিক্রমে রবিবার ছুটির দিন স্কুল চলছে। ছুটির দিন হওয়ায় মিড ডে মিল নেই। তাই আমরা শিক্ষকরাই টাকা তুলে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করেছি।’’
এ দিকে রবিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে প্রধানশিক্ষকের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়। এ নিয়ে তৃণমূলের নেত্রীর সঙ্গে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রধানশিক্ষক এ ব্যাপারে মুচলেকা দেবেন, তত ক্ষণ তাঁকে ঘর থেকে বার হতে দেবেন না বলেও হুমকি দেন গোপা। এই ঘটনায় স্কুলে উত্তেজনা। জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, ‘‘বিষয়টি কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছি।’’