Gangasagar Mela 2025

মঙ্গলের ভোর থেকে শুরু হয়ে গেল মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান, লক্ষ মানুষের ভিড়ে জমজমাট গঙ্গাসাগর

গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে প্রস্তুতিতে খামতি রাখেনি প্রশাসন। ভিড় সামাল দিতে তৎপর রয়েছে পুলিশ-প্রশাসনও। ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫৫ লক্ষ মানুষ গঙ্গাসাগর মেলায় এসেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৪
গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়।

গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়। ছবি: পিটিআই।

মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান উপলক্ষে বাংলা তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য পুণ্যার্থী। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পুণ্যস্নান। চলবে বুধবার সকাল পর্যন্ত। অনেকে ইতিমধ্যেই স্নান সেরে ফেলেছেন। পুণ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে বুধবারের আগে আরও কয়েক লক্ষাধিক মানুষ গঙ্গাসাগরে আসবেন বলে আশাবাদী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে গঙ্গাসাগরে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সকাল ১০টা নাগাদ পুণ্যস্নানের জন্য আসেন সুকান্ত। সাগরমেলার এক নম্বর ঘাটে দলীয় কর্মী ও অনুগামীদের নিয়ে স্নান সারেন তিনি। মেলায় আসার রাস্তা জুড়ে শুধুই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সাঁটানো নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সুকান্তের দাবি, দলের তরফে একাধিক বার প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত তোরণ তৈরির আবেদন জানানো হলেও স্থানীয় বিডিও সেই অনুমতি দেননি। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘৪০ কোটি মানুষ এলেও এই মেলা জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পাবে না, কারণ এখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি ঠাঁই পায় না!’’

গঙ্গাসাগর মেলায় প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। ভিড় সামাল দিতে তৎপর রয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। পূর্ণকুম্ভের কারণে অন্য বারের তুলনায় এ বার গঙ্গাসাগরে ভিড় কম হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও পুণ্যার্থীদের ঢল থামার নাম নেই। প্রশাসন জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫৫ লক্ষ মানুষ গঙ্গাসাগর মেলায় এসেছেন। পুণ্যস্নানের জন্য রবিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাগরদ্বীপে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন তীর্থযাত্রীরা।

পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে মেলা কমিটির তরফে একাধিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। মেলার সময় পর্যাপ্ত চিকিৎসক, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীর বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। মেলাপ্রাঙ্গণে বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, ইংরেজি, তামিল, তেলুগু, মরাঠি ভাষায় ঘোষণার ব্যবস্থাও থাকছে। সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে দু’হাজারের বেশি বাস থাকছে রাস্তায়। জলপথে ১০০টি লঞ্চ, ৩২টি ভেসেল, ন’টি বার্জ থাকছে। এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় ১২টি অস্থায়ী জেটিও তৈরি করা হয়েছে।

এ ছাড়া, এ বার গঙ্গাসাগরে স্নান করলে পুণ্যার্থীরা সার্টিফিকেট পাবেন! এই শংসাপত্রের নামকরণ করা হয়েছে ‘বন্ধন’। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় লেখা এই সার্টিফিকেট। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট কিউআর কোড স্ক্যান করলেই মিলবে টয়লেট, পথনির্দেশিকা, পার্কিং, বাস, লঞ্চ, ফেরি পরিষেবা-সহ মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য ই-পরিচয়পত্রেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে পুণ্যার্থীর সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দেওয়া থাকবে।

Advertisement
আরও পড়ুন