Gangasagar Mela 2025

গঙ্গাসাগর মেলা থেকে ফেরার পথে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পুণ্যার্থীর, অসুস্থ আরও তিন

রবিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়। তড়িঘড়ি তাঁকে নামখানা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২৭
গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়।

গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়। — ফাইল চিত্র।

গঙ্গাসাগর মেলা থেকে ফেরার পথে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক পুণ্যার্থীর। মৃতের নাম অবধেশ তিওয়ারি (৫৯)। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাছারপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও তিন জন। তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গঙ্গাসাগরে স্নান সেরে নামখানার যাত্রীনিবাসে ফিরে এসেছিলেন অবধেশ। রবিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়। তড়িঘড়ি তাঁকে নামখানা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অবধেশ ছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ঠাকুর দাস (৭০) এবং রাজকুমার পাণ্ডে (২০)। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মহারানি মণ্ডলও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই তিন পুণ্যার্থীকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন।

মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। সে জন্য রবিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাগরদ্বীপে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন তীর্থযাত্রীরা। চলতি বছরে গত বারের থেকেও বেশি পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় আসবেন বলে আশাবাদী প্রশাসন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪২ লক্ষ পুণ্যার্থী মেলায় এসেছেন। পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে মেলা কমিটির তরফে একাধিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। মেলার সময় পর্যাপ্ত চিকিৎসক, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীর বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। মেলাপ্রাঙ্গণে বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, ইংরেজি, তামিল, তেলুগু, মরাঠি ভাষায় ঘোষণার ব্যবস্থাও থাকছে। সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে দু’হাজারের বেশি বাস থাকবে রাস্তায়। জলপথে ১০০টি লঞ্চ, ৩২টি ভেসেল, ন’টি বার্জ থাকবে। এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় ১২টি অস্থায়ী জেটিও তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া, এ বার গঙ্গাসাগরে এসে স্নান করলে পুণ্যার্থীরা সার্টিফিকেট পাবেন! এই শংসাপত্রের নামকরণ করা হয়েছে ‘বন্ধন’। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় লেখা এই সার্টিফিকেট। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট কিউআর কোড স্ক্যান করলেই মিলবে টয়লেট, পথনির্দেশিকা, পার্কিং, বাস, লঞ্চ, ফেরি পরিষেবা-সহ মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য ই-পরিচয়পত্রেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে পুণ্যার্থীর সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দেওয়া থাকবে।

Advertisement
আরও পড়ুন