অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে থানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র
বাড়িতে এক মহিলাকে আটকে রেখে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির এই ঘটনায় অভিযুক্তকে মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরে পুলিশ এসে ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম স্পন্দন দাস। তিনি পানিহাটির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্থানীয়দের তরফে আরও জানা গিয়েছে, স্পন্দন ১০৯ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী এজেন্টও হয়েছিলেন তিনি।
যৌন নির্যাতনের ঘটনায় বিজেপি নেতার নাম জড়াতেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলকে সমাজমাধ্যমে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। গত কয়েক দিন ধরেই আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যের শাসকদল চাপে। তার মধ্যেই পানিহাটির এই ঘটনায় ‘নারীসুরক্ষা’ নিয়ে পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছে তারা। তৃণমূলের সমাজমাধ্যমের পোস্টে ঘটনাটির কথা উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, “বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির বাইরে কি অভিযান হবে?” একই সঙ্গে ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, “নারীসুরক্ষা নিয়ে কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার বিজেপির নেই।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখভাল করার কথা বলে টালিগঞ্জ থেকে এক জন আয়াকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা স্পন্দন। অভিযোগ, সারা রাত ধরে পেশায় আয়া ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে ‘নিগৃহীতা’ কোনও ভাবে পালিয়ে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অত্যাচারের কথা জানান। হাতেনাতে ধরা হয় অভিযুক্তকে। অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। পরে ঘোলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘোলা থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এই বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করতে পারব না।”