Bhangar

ভাঙড়ে অশান্তির জেরে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা, বিরোধীদের দাবি, শাসকের ‘ইচ্ছায়’ পদক্ষেপ পুলিশের

রাজনৈতিক চাপান-উতোর অব্যাহত। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে ঘটকপুকুর এবং তার পাশ্ববর্তী এলাকায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারাই জারি থাকবে বলে জানান বারুইপুরের মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:১৯
নওশাদের মুক্তির দাবিতে মৌন মিছিল আইএসএফের।

নওশাদের মুক্তির দাবিতে মৌন মিছিল আইএসএফের। —ফাইল চিত্র।

তীব্র রাজনৈতিক চাপান-উতোরের মাঝে ভাঙড় থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল পুলিশ। মিছিল করতে চেয়ে অনুমতি পেল না সিপিএম। তাদের অভিযোগ, শাসক দলের চাপে এই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ।

গত সাত দিন ধরে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। গত শনিবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির পর রাজনৈতিক চাপান-উতোর আরও তীব্র হয়েছে। এলাকায় ‘শান্তি মিছিল’ করতে চেয়ে অনুমতি পাননি তৃণমূলের আরাবুল ইসলাম। অন্য দিকে, শুক্রবার ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বার করে আইএসএফ। তাদের দাবি, অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে নওশাদকে। নওশাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আগামী ৩০ জানুয়ারি ঘটকপুকুর থেকে কাঁঠালিয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের আবেদন করে সিপিএম। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিপিএম নেতৃত্ব থানায় গেলে তাঁদের জানানো হয়, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই মিছিলের অনুমতি দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার ঘোষ বলেন, ‘‘শাসক শ্রেণি ভয় পেয়েছে। তাই ভাঙড় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হল। মানুষ কোনও প্রতিবাদও যাতে করতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা।’’ যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক শিবির। আরাবুলের পুত্র তথা ভাঙড়ের যুব তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই তারা উল্টোপাল্টা বকছে। এ সবের কোনও ভিত্তি নেই।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে ঘটকপুকুর এবং তার পাশ্ববর্তী এলাকাতেও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানান বারুইপুরের মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার।

আরও পড়ুন
Advertisement