Drowning

গঙ্গায় নেমে তলিয়ে গেল চার কিশোর, উদ্ধার আরও দুই

জুটমিল কোয়ার্টার্সের বাসিন্দা ওই চার নিখোঁজ কিশোরের মধ্যে দু’জন ভাই। তাদের মধ্যে এক জন স্নান করতে নেমে স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে দেখে বাকিরা তাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:২৫
কলকাতা পুলিশের তরফে ডুবুরি নামিয়ে ওই চার কিশোরের খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু রাত পর্যন্ত এক জনেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কলকাতা পুলিশের তরফে ডুবুরি নামিয়ে ওই চার কিশোরের খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু রাত পর্যন্ত এক জনেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি। —প্রতীকী চিত্র।

নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল চার কিশোর। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নোদাখালি থানা এলাকার বিড়লাপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ছ’জন কিশোর কাশীপুর-আলমপুর গঙ্গার জেটিঘাটে স্নান করতে গিয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই স্কুলপড়ুয়া। তাদের মধ্যে দু’জনকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন। তবে, রাত পর্যন্ত বাকি চার জনের খোঁজ মেলেনি বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement

জুটমিল কোয়ার্টার্সের বাসিন্দা ওই চার নিখোঁজ কিশোরের মধ্যে দু’জন ভাই। তাদের মধ্যে এক জন স্নান করতে নেমে স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে দেখে বাকিরা তাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এর পরে চার জনই স্রোতের টানে তলিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। নিখোঁজ ওই চার কিশোরের নাম দীপুকুমার সাউ (১৬), পিন্টুকুমার সাউ (১৪), দীপক মাহাতো (১৫) ও বিভাসকুমার সাউ (১৬)। এদের মধ্যে দীপু ও পিন্টু দুই ভাই। দীপক ও বিভাস তাদের প্রতিবেশী।

দীপু ও পিন্টুর বাবা প্রেমনাথ সাউ বলেন, “আমি জুটমিলে ছিলাম। আমার মেয়ে ফোন করে জানায়, দুই ভাই নদীতে স্নান করতে গিয়ে ডুবে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি ওখানে যাই। সিঁড়ি দিয়ে কিছুটা নামার পরে দেখি, জলের প্রচণ্ড স্রোত। তাই উঠে আসি।’’ ওই ছয় কিশোর সাঁতার জানত না বলে তাদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে এ দিন স্কুল ছুটি ছিল। সেই সুযোগে সাতসকালে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল ওই কিশোরেরা।

ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “ছ’জনই জলে নেমেছিল। ওই সময়ে নদীতে জোয়ার চলছিল। জলে তখন প্রচণ্ড স্রোত। সিঁড়ি দিয়ে নামার পরে এক নাবালক জলে পড়ে যায়। তাকে ভেসে যেতে দেখে অন্যেরাও জলে নেমে গিয়েছিল। দু’জনকে কোনও রকমে হাত ধরে টেনে উপরে তোলা হয়।’’ কিন্তু জলের স্রোতে বাকি চার জন ভেসে যায়। জেটিঘাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাই নোদাখালি থানায় খবর দেন।

পুলিশ পৌঁছে প্রাথমিক ভাবে ছোট নৌকা নিয়ে চার দিকে খোঁজ শুরু করে। ঘটনাস্থলে আসেন দমকলের কর্মীরাও। দুপুরের পরে জেটিঘাটে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কলকাতা পুলিশের তরফে ডুবুরি নামিয়ে ওই চার কিশোরের খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু রাত পর্যন্ত এক জনেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এক কর্তা বলেন, “চার কিশোরের খোঁজে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নদীপথ সংলগ্ন সব থানায় খবর পাঠানো হয়েছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement