আসন্ন বাজেটে আমদানি শুল্ক বাড়াতে পারে সরকার। —প্রতীকী চিত্র।
ডলারের সাপেক্ষে টাকার অবাধ পতনে ঘুম উড়েছে গোটা দেশের। সম্প্রতি নজিরবিহীন ভাবে ডলার ৬৬ পয়সা উঠে ৮৬.৭০ টাকা ছোঁয়ার পরে প্রশ্ন ওঠে, এ ভাবে ভারতীয় মুদ্রা আর কত তলানিতে নামবে? এই পরিস্থিতিতে বুধবার উপদেষ্টা সংস্থা ইওয়াই জানাল, এর দাওয়াই হিসেবে আসন্ন বাজেটে আমদানি শুল্ক বাড়াতে পারে সরকার। লাগাতার পড়ার পরে মঙ্গল এবং বুধবার অবশ্য টাকা কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দু’দিনে ডলার ৩০ পয়সা কমে হয়েছে ৮৬.৪০ টাকা।
ভারতে সবচেয়ে বেশি ডলার খরচ হয় আমদানি পণ্যের দাম মেটাতে। তাই আমদানি বাড়লে ডলারের চাহিদা বাড়ে, কমলে হয় উল্টোটা। হালে প্রধানত দু’টি কারণে দেশে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। প্রথমটি, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারতের শেয়ার বাজার থেকে পুঁজি তুলে নেওয়া। তারা শেয়ার বিক্রির টাকা দিয়ে ডলার কিনে বিদেশে নিয়ে যায়। ফলে গত ক’মাস ধরে তাদের টানা শেয়ার বিক্রি ডলারের চাহিদা বাড়িয়েছে। দ্বিতীয় কারণ, আমদানি বৃদ্ধি। তাতে চড়েছে ডলারের চাহিদা। ফলে টাকার সাপেক্ষে বেড়েছে দাম। তাই বাজেটে শুল্ক বাড়িয়ে কেন্দ্র আমদানিতে রাশ টানবে বলে মনে করছে উপদেষ্টা সংস্থাটি।
ইওয়াই-এর মুখ্য নীতি উপদেষ্টা ও ষোড়শ অর্থ কমিশনের সদস্য ডি কে শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘টাকার পতন কেন্দ্র ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। শুল্ক বাড়ানো হলে ওই খাতে ডলারের খরচ কমবে। ফলে আমদানিকারীদের কাছে তার চাহিদা হ্রাস পাবে। যা কমাবে দাম।’’ তাঁর দাবি, মুদ্রার বিনিময়মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজেটে খুব বেশি কার্যকরী পদক্ষেপের সুযোগ কেন্দ্রের হাতে নেই। তাই শুল্কের হার বদলের মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাতে দেশীয় শিল্পকে উৎসাহও দেওয়া যাবে। যা আত্মনির্ভর ভারত তৈরির স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে।