মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
অক্টোবর মাসের অর্ধেকটাই ছিল ছুটি। হবে না-ই বা কেন? বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো ছিল অক্টোবরেই। সেই সঙ্গে গান্ধীজির জন্মদিন থেকে লক্ষ্মীপুজো— ছুটি আর ছুটি। মাসের শেষ দিনটাও ছুটি। কারণ, ৩১ অক্টোবর কালীপুজো। আর সেই দিন থেকেই অন্য ছুটির ক্যালেন্ডার তৈরি। নভেম্বর মাসটা ৩০ দিনের আর তার মধ্যে ১৪ দিনই ছুটি। সঙ্গে অক্টোবরের শেষ দিন আর ডিসেম্বরের প্রথম দিনটাও ধরতে হবে। কারণ, তাতে টানা ছুটির মজাটা পাওয়া যাবে।
রাজ্য সরকারের পক্ষে অর্থ দফতর প্রতি বছর নভেম্বর মাসেই পরের বছরের ছুটির ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে থাকে। আর সেই নভেম্বর এ বার ছুটিতে ভরা। ৩১ অক্টোবর কালীপুজোর দিনটা বৃহস্পতিবার। তবে রাজ্য সরকার এর পরের দিন ১ নভেম্বরও ছুটি দিয়ে রেখেছে। সেই শুক্রের ছুটির পরে শনি ও রবি মিলিয়ে চার দিনের ছুটি হতে পারত। কিন্তু রবিবার মানে ৩ নভেম্বর আবার ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। তবে রাজ্য সরকার ‘পুষিয়ে দিয়েছে’। পরের দিন সোমবারও ভাইফোঁটার অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা রয়েছে। মানে ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর টানা পাঁচ দিনের ছুটি।
এর পরে দু’দিনের অফিস। ৭ নভেম্বর ছটপুজোর ছুটি। সে দিনটা বৃহস্পতিবার। রাজ্য সরকার ছুটি দিতে কার্পণ্য না করে পরের দিনটা মানে শুক্রবার ছটের ‘ফাউ ছুটি’ দিয়ে রেখেছে। তার পরে আবার শনি ও রবিবার। ফলে ৭ থেকে ১০ নভেম্বর টানা চার দিনের ছুটি।
এর পরে কয়েক দিনের ছুটি-বিরতি। ১৫ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মদিন। সেটাও আবার শুক্রবার। আবার শনি, রবি মিলিয়ে তিন দিনের টানা ছুটি। এতটা লম্বা ছুটি আর মিলবে না নভেম্বরে। তবে ২৩ ও ২৪ তারিখ শনি, রবি বার। আবার মাসের শেষে ৩০ তারিখ শনিবার। ফলে ডিসেম্বর মাস শুরুও হচ্ছে রবিবার দিয়ে। ওই মাসটায় অবশ্য শনি, রবি বাদ দিলে ছুটি একটাই। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। এ বারে সেটা বুধবারে পড়েছে।