ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র ৮৫ টাকায় পৈতৃক বাড়ি কিনেছিলেন আমেরিকার এক মহিলা। সেই বাড়ি সংস্কার করতেই খরচ হল চার কোটি টাকা! সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মহিলার নাম মেরেডিথ ট্যাবোন। তিনি আমেরিকার শিকাগোর বাসিন্দা। মেরেডিথের পৈতৃক বাড়ি ইটালিতে। ২০১৯ সালে ইটালির সাম্বুকা ডি সিসিলিয়ার একটি গ্রামে থাকা সেই বাড়ি মাত্র ১.০৫ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৫ টাকা)-এ কিনেছিলেন মেরেডিথ। তবে দীর্ঘ দিন ধরে সেই ভাঙাচোরা বাড়ি সংস্কার করতে তাঁকে পকেট থেকে খসাতে হয়েছে চার লক্ষ ৮০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় চার কোটি টাকা)।
১৯০৮ সালে মেরেডিথের দাদু-ঠাকুমা ইটালি ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে আমেরিকায় চলে আসেন। তবে আসার আগে বসতবাড়ি তাঁরা বিক্রি করেননি। দীর্ঘ দিন অবহেলায় পড়ে থাকার পর ২০১৯ সালে নিলামে ওঠে বাড়িটি। খবর পৌঁছয় মেরেডিথের কাছে। পৈতৃক বাড়ি কিনতে তৎপর হন তিনি। নিলামের দিন নিজে উপস্থিত থেকে ওই বাড়িটি তিনি কেনেন। কিন্তু নিলামে ছোট সেই বাড়িটির দাম ওঠে মাত্র ৮৫ টাকা।
এত কম টাকায় পৈতৃক বাড়ি কেনার পরেও থেমে যাননি মেরেডিথ। পরবর্তী কালে ১৯.৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ওই বাড়ির পাশেই অন্য একটি সম্পত্তি কেনেন তিনি। এর পরেই নিজের বাড়ি সংস্কারের কাজে হাত লাগান মেরেডিথ। হিসাব কষে দেখেন, প্রাথমিক ভাবে বাড়িটি সংস্কারের জন্য তাঁর ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। কিন্তু পরে খরচের বহর আরও বাড়ে। সব শেষে তিনি দেখেন, বাড়ি মেরামত করতে তাঁর মোট খরচ হয়েছে চার কোটি টাকা। তবে পৈতৃক বাড়ি সংস্কারের জন্য অত টাকা খসিয়ে কোনও আফসোস নেই মেরেডিথের। একটি সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, বাড়িটিকে বাসযোগ্য করে পারিবারিক ঐতিহ্যকে বজায় রাখাই ছিল তাঁর লক্ষ্য।
মেরেডিথ আরও জানিয়েছেন, সংস্কারের পর শতাব্দীপ্রাচীন বাড়িটির ভোল একেবারে বদলে গিয়েছে। বাড়িটি বিক্রি করার প্রস্তাবও তিনি পেয়েছেন। তবে মেরেডিথ স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও মতেই সেই বাড়ি বিক্রি করতে তিনি রাজি নন।