বেক্ড পালং বানিয়ে দিন খুদেকে, চেটেপুটে খাবে। প্রণালী খুব সহজ। ছবি: ফ্রিপিক।
শীতকালে নানা রকম সব্জি বাজারে। তবে ছোটরা অনেক সময়েই শাকসব্জি খেতে চায় না। শরীরে যদি অন্য সমস্যা না থাকে তা হলে এই ঠান্ডার সময়ে পালং শাক খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। পালং শাকে ভরপুর মাত্রায় থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই শাক আয়রনে পরিপূর্ণ। কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই শাক হজমে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
বাড়ির খুদে সদস্যটি যদি পালং শাকের তরকারি বা ঘণ্ট খেতে না চায়, তা হলে পালং দিয়েই বানিয়ে দিন নতুন রকম পদ বেক্ড পালং। মিষ্টি ভুট্টার দানার সঙ্গে পালং শাকের যুগলবন্দি খেতেও সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণেও ঠাসা।
বেক্ড পালং কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ
১ কাপ পালং শাক
১ কাপ মিষ্টি ভুট্টার দানা
২টি পেঁয়াজ
২টি টম্যাটো
২ কোয়া রসুন
আদা কুচি
আধ চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো
আধ চামচ ধনে গুঁড়ো
১ চা চামচ কসুরি মেথি
আধ কাপের মতো নলেন গুড়
আধ কাপের মতো গ্রেট করা চিজ়
ঘি পরিমাণ মতো
নুন ও গোলমরিচ স্বাদমতো
প্রণালী
প্রথমে পালং শাক ভাল করে ধুয়ে নিয়ে মিক্সিতে পিষে নিন। আদা, রসুন আর লঙ্কা বেটে নিন। পেঁয়াজ আর টোম্যাটোও মিহি করে বেটে নিতে হবে।
এ বার কড়ায় ঘি গরম করে আদা-রসুন-লঙ্কা বাটা দিয়ে দিন। হালকা সোনালি রং ধরলে তাতে গুড় মেশান। চিনি দেবেন না। খুব সুন্দর রং ধরবে। এ বার তাতে পেঁয়াজ-টোম্যাটো বাটা মিশিয়ে হালকা হাতে নাড়ুন। ভাল করে কষিয়ে নিয়ে তাতে মশলাগুঁড়ো, নুন ও গোলমরিচ মেশান। তার পর ভুট্টা দানাগুলি দিয়ে দিন। হালকা করে নাড়তে হবে যাতে নীচেটা ধরে না যায়। এর পর পালং শাক আর কসুরি মেথি দিয়ে দিন।
বেকিং ডিশে মিশ্রণটি ঢেলে উপর থেকে গ্রেট করা চিজ় ছড়িয়ে নিন। এ বার বেক করে নিতে হবে। বাড়িতে মাইক্রোঅয়েভ না থাকলে, মিশ্রণটি একটি ছড়ানো পাত্রে নিয়ে গ্রিলের উপর বসান। তার পর কড়াইতে গ্রিলটি বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১৫-২০ মিনিট কম আঁছে রাখুন যত ক্ষণ না উপরটা সোনালি হয়ে ওঠে। রুটি, পরোটা, কুলচা সবের সঙ্গেই ভাল লাগবে এই পদ।