—প্রতীকী ছবি।
অফিস যাওয়ার সময় রোজ একই সময়, একই বাসে যাতায়াত করেন তরুণী। প্রতি দিন দু’জন কন্ডাক্টরের সঙ্গেই দেখা হয় তাঁর। রোজকার দেখাসাক্ষাতের ফলে তাঁদের সঙ্গে মুখ চেনাচেনিও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই আলাপই বিপদ ডেকে আনল তরুণীর জীবনে। রেডিটে পোস্ট করে তরুণী জানিয়েছেন যে, প্রতি দিন একই বাসে যাওয়ার সুবাদে দু’জন কন্ডাক্টরের মুখ চিনে ফেলেছিলেন তিনি। রোজ সেই দু’জনই সকালের বাসে থাকেন। তরুণীর দাবি, এক জন কন্ডাক্টর তাঁর সঙ্গে ভাব জমাতে চেয়েছিলেন। এমনকি বহু বার আলাপ করার চেষ্টাও করেছেন তিনি।
তরুণী লেখেন, ‘‘প্রথম প্রথম আমায় দেখলে আমি কেমন আছি তা জিজ্ঞাসা করতেন বাসের এক কন্ডাক্টর। আমিও পাল্টা একই প্রশ্ন করতাম। ভাবতাম, আমায় রোজ যাতায়াত করতে দেখছেন বলেই সৌজন্যের খাতিরে আমায় প্রশ্ন করছেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর ব্যবহার অদ্ভুত লাগতে শুরু করে। আমি চা খেয়েছি কি না, বাড়ি থেকে জলখাবার খেয়ে বেরিয়েছি কি না— সব কিছু জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেন। এমনকি বাসে আমার চোখ লেগে গেলেও ধাক্কা দিয়ে জিজ্ঞাসা করতেন যে আমি বিশ্রাম নিচ্ছি কি না। রোজ দেখা হয় বলে কেউ এমন করতে পারেন বলে আমার ধারণা নেই। এক দিন আমায় ফোন ঘাঁটতে দেখেন তিনি। হাতে টোকা মেরে জিজ্ঞাসা করেন, আমি কার সঙ্গে চ্যাট করছি। কিছুই বলিনি আমি।’’
তরুণীর দাবি, এক দিন তাঁর ফোন নম্বর চেয়ে বসেছিলেন বাসের ওই কন্ডাক্টর। কিন্তু তা দিতে রাজি হননি তরুণী। তাই বাস থেকে নামার সময় ‘প্রতিশোধ’ নিতে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান কন্ডাক্টর। তরুণী লেখেন, ‘‘আমি জানালার ধারে বসে ছিলাম। আমার পাশে এক মহিলা বসেছিলেন। বাস থেকে নামব বলে আমার সিট ছেড়ে উঠি। কিন্তু বাসের কন্ডাক্টর সিটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন। কিছুতেই আমায় নামতে দিচ্ছিলেন না। পরে আমার পাশে বসে থাকা মহিলা তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরান। আমি তাড়াতাড়ি বাস থেকে নেমে পড়ি।’’ ঘটনার বৃত্তান্ত লিখে নেটব্যবহারকারীদের কাছে উপদেশ চান তরুণী। এক নেটাগরিক বলেন, ‘‘খুব ভাল বন্ধুত্ব না থাকলে শুধুমাত্র রোজকার দেখায় কেউ এমন ব্যবহার করতে পারেন না। আপনি সাবধানে থাকুন।’’ আবার অন্য এক নেটব্যবহারকারীর মন্তব্য, ‘‘আপনি বাসের অন্য কন্ডাক্টরকে পুরো বিষয়টি জানান। যদি তাতেও তাঁর আচরণে বদল লক্ষ না করেন তা হলে আপনাকে অন্য পদক্ষেপ করতে হবে।’’