—প্রতীকী ছবি।
পেঁয়াজের দামের ঝাঁজে চোখে জল আমজনতার। পাশাপাশি অগ্নিমূল্য হয়েছে আলু, টোম্যাটো, সোনা আর রুপো। এই পাঁচ পণ্যের জেরেই মুদ্রাস্ফীতির সূচক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বলে এ বার স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব। নভেম্বরের শেষের দিকে পেঁয়াজের দাম কমার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় অর্থসচিব তুহিন কান্ত পাণ্ডে বলেন, ‘‘পেঁয়াজ-সহ পাঁচটি পণ্য সরিয়ে দিলে মুদ্রাস্ফীতি ৪.২ শতাংশে নেমে আসবে। এই পাঁচ সামগ্রীর দামের ক্ষেত্রে একটা ব্যতিক্রমী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।’’ সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে খারিফ শস্যের ক্ষতি হওয়াকেই এর জন্য দায়ী করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মাত্র চার দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যায় পেঁয়াজের দাম। খুচরো বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অবশ্য দাবি, অক্টোবর থেকেই ধীরে ধীরে চড়ছিল দামের লেখচিত্র। নভেম্বরে যা অনেকটা উপরের দিকে উঠে যায়।
দেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের বাজার মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁওতে অবস্থিত। এ বছরের ৪ নভেম্বর সেখানে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৪৭.৭০ টাকায়। ৭ নভেম্বর যা বেড়ে ৫৭.৭০ টাকা/কেজিতে পৌঁছে যায়। একই ছবি দেখা গিয়েছে আলু ও টোম্যাটোর ক্ষেত্রেও। ‘হর্টিকালচার প্রোডিউসার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সহ সভাপতি বিকাশ সিংহ জানিয়েছেন, বাজারে নতুন করে শীতের সব্জি না আসা পর্যন্ত এই পরিস্থিতির বদল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে দাম অনেকটা কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
অক্টোবরে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৮০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে যা ৭৫ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। দর কমেছে সাদা ধাতুরও। তবে অক্টোবরে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ৬ শতাংশের (৬.২১ শতাংশ) থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে পাইকারি বাজারের দরও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যা খাদ্যপণ্যের দামকে প্রভাবিত করছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।