ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। দু’হাতের মাঝে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি লাঠি। এই অবস্থাতেই এক তরুণকে টেবিলের উপরে শুইয়ে পর পর জুতো দিয়ে মারছেন আরও কয়েক জন তরুণ। এমনই এক ভিডিয়ো হইচই ফেলে দিয়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে, কী এমন দোষ করেছেন ওই তরুণ, যার জন্য এ ভাবে শাস্তি পেতে হচ্ছে তাঁকে?
আসলে যে দিন ঘটনাটি ঘটেছে, ওই দিন জন্মদিন ছিল ওই তরুণের। যাঁরা মারধর করছেন তাঁরা ওই তরুণেরই বন্ধু। আর জন্মদিন উপলক্ষে বন্ধুকে জুতোপেটা উপহার দিচ্ছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, একটি ছেলেদের হস্টেলে ঘটনাটি ঘটেছে। সেই হস্টেলে থাকা ছাত্রদের জন্মদিন এ ভাবেই নাকি উদ্যাপন করা হয়। বিশেষ দিনে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জুতোপেটা খেতে হয় তাঁদের। যেমন ভাবে মার খেতে দেখা যাচ্ছে ওই তরুণকে। বন্ধুকে জুতোপেটা করার সময়ের ভিডিয়ো বাকি বন্ধুরা ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলেন। সেই ভিডিয়োটিই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। কোন শহরে ঘটনাটি ঘটেছে, তা-ও ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়।
ভাইরাল ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ওই তরুণের হাত পিছনে মুড়ে তাঁকে একটি টেবিলের উপর শোয়ানো হয়েছে। দুই কনুইয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি লাঠি। হঠাৎ তাঁর বন্ধুরা এসে টেবিলটির চারপাশে গোল করে দাঁড়ান। বেল্ট এবং জুতো দিয়ে একের পর এক মার দিতে থাকেন তরুণের পশ্চাদদেশে। একই সঙ্গে চলতে থাকে হাসির ফোয়ারা। মারের চোটে জেরবার হয়ে এক সময় ওই তরুণও হাসতে হাসতে টেবিল থেকে উঠে পড়েন।
‘ঘর কে কলেশ’ নামে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে শনিবার শেয়ার করা ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই প্রায় আট লাখ মানুষ দেখেছেন। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই ভিডিয়োটি দেখে তাঁদের হস্টেল জীবনের কথা লিখেছেন। তবে এ ভাবে জন্মদিন উদ্যাপনকে অমানবিক আখ্যাও দিয়েছেন অনেকে।