ছবি: সংগৃহীত।
দিনে ক্যাথলিক স্কুলে ছোট ছেলেমেয়েদের পড়ান। রাতে ‘কন্টেন্ট’ তৈরি করেন দুষ্টু ওয়েবসাইটে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই নার্সারি স্কুলের শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ইতালিতে। সেই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সে দেশের শিক্ষা মন্ত্রকও।
অভিযোগ, দিনে ক্যাথলিক স্কুলের পড়ুয়াদের পড়ালেও রাতে দুষ্টু ওয়েবসাইটের মডেল হিসাবে কাজ করতেন ২৯ বছর বয়সি শিক্ষিকা এলেনা মারাগা। ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করতেন তিনি। সেখান থেকে অনেক আয়ও করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি এক অভিভাবকের নজরে পড়ে। বাকি অভিভাবকদেরও বিষয়টি জানান তিনি। অভিভাবকেরা সমবেত হয়ে এলেনার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন। এর পরেই এলেনাকে সাসপেন্ড করা হয় বলে খবর। পুরো বিষয়টি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, এলেনাকে নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ইতালির শিক্ষা মন্ত্রক নতুন একটি নীতিমালা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দুষ্টু ওয়েবসাইটে উপস্থিত নিষিদ্ধ করবে।
অভিযোগের মুখে পড়ে এলেনার যুক্তি, তাঁকে স্কুল থেকে যা বেতন দেওয়া হয় তা সামান্য। সেই বেতন দিয়ে তাঁর সংসার চলে না। আর সেই কারণেই অবসর সময়ে দুষ্টু ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট বানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ইতালীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এলেনা বলেন, ‘‘আমি এমনিতেই অন্য দিকে কেরিয়ার গড়ার কথা ভেবেছিলাম। আমি কয়েক জনকে চিনি যাঁরা এ ভাবে খুব ভাল আয় করেন। আমি কেবল ভেবেছিলাম যে, আমার শরীর নিয়ে আমি গর্বিত। তা প্রদর্শন করে যদি উপার্জন হয়, তাতে ক্ষতি কী?’’
সাসপেন্ড হওয়ার পর এলেনা আরও বলেন, ‘‘আমি বাচ্চাদের পড়াতে ভালবাসি। এটা আমার পেশা। কিন্তু ইন্টারনেটে আমি অনেক বেশি উপার্জন করি। আমি এক মাস আগে ওই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম। আমার এক মাসের যা বেতন, ওখান থেকে তা আমি এক দিনে উপার্জন করছি।’’
উল্লেখ্য, এলেনার শিক্ষা বিজ্ঞানে ডিগ্রি রয়েছে। বিগত পাঁচ বছর ধরে ক্যাথলিক নার্সারি স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন তিনি। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়েছে। নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, দুষ্টু ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট বানিয়ে কোনও ভুল করেননি এলেনা। যদিও অন্য একাংশের দাবি, শিক্ষিকা হিসাবে তিনি যা করেছেন, তা একেবারেই অভিপ্রেত নয়।