ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
জঙ্গলে সাফারি করতে বেরিয়েছিলেন পর্যটকেরা। গাড়ির সামনে হঠাৎ এসে পড়ে বুনো হাতির দল। তা দেখেই গাড়ির গতি ধীরে ধীরে কমাতে শুরু করলেন তরুণ সাফারি গাইড। জঙ্গলের মধ্যে নিজেদের মতোই ঘোরাঘুরি করছিল হাতিগুলি। হঠাৎ পর্যটকের গাড়ি দেখে সে দিকে তেড়ে গেল একটি বুনো হাতি। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে দেন গাইড। গাড়ির দরজা খুলে সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। তত ক্ষণে পর্যটকেরা ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করেছেন। হাতিও তেড়ে আসছে দ্রুত গতিতে। তবে খালি হাতে সেই বুনো হাতিকে সামাল দিলেন তরুণ সাফারি গাইড। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘এসএল.রোমিং’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে যে, জঙ্গলে পর্যটকদের নিয়ে সাফারি করতে বেরিয়েছিলেন সাফারি গাইড। গাড়ি নিয়ে বুনো হাতির দলের সামনে পড়ে যান তাঁরা। হাতিগুলি নিজেদের মতো জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করছিল। কিন্তু সেই দল থেকে হঠাৎ একটি হাতি বেরিয়ে এসে পর্যটকের গাড়ির দিকে তেড়ে যেতে শুরু করে।
হাতিকে তেড়ে আসতে দেখে ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করলেন গাড়িতে বসে থাকা পর্যটকেরা। বিপদ বুঝে গাড়ির দরজা খুলে চালকের আসন ছেড়ে সেখানেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন তরুণ গাইড। ছুটে আসা হাতির দিকে তাকিয়ে গাড়ির বনেটে বার বার জোর শব্দ করে মারতে শুরু করেন তিনি। তার পর হাতির দিকে হাত উঁচু করে থামার নির্দেশ দেন ওই গাইড।
গাড়ির একেবারে সামনে পৌঁছেও যেন গাইডের নির্দেশ বুঝতে পেরে আবার শুঁড় উঁচিয়ে দলের মধ্যে চলে গেল হাতিটি। হাতিটি চলে যেতেই পর্যটকদের শান্ত হওয়ার নির্দেশ দিলেন তরুণ গাইড। ঘটনাটি শ্রীলঙ্কার ওয়াসগামুয়া জাতীয় উদ্যানে ঘটেছে। ভিডিয়োটি দেখে এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘সাফারি গাইডের সাহস দেখে অবাক হয়ে গেলাম। আমি ওই সময় সেখানে থাকলে ভয়ে মনে হয় জ্ঞানই হারিয়ে ফেলতাম। গাইডের সাহসের প্রশংসা করি।’’