ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
আবাসন দফতরের সামনে বহু ক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধ। দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে, তাঁর বয়স ৬০ বছরের গণ্ডি পার করে ফেলেছে। ষাটোর্ধ্ব সেই ব্যক্তিকে অপেক্ষা না করিয়ে যেন তাঁর কাজ তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা হয়, অফিসের এক মহিলা কর্মীকে তেমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন দফতরের উচ্চ অধিকর্তা। কিন্তু তাঁর নির্দেশ মানেননি কর্মী। বহু ক্ষণ ধরে সেই বৃদ্ধ দফতরের মধ্যেই অপেক্ষা করছিলেন। তা দেখে চটে যান কর্তা। কর্মীদের শাস্তি দিতে টানা ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেন তিনি। সমাজমাধ্যমে সেই দৃশ্যের ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার এই ঘটনাটি নয়ডার আবাসন দফতরে ঘটেছে। সেই দফতরের সিইও পদে রয়েছেন লোকেশ এম। ২০০৫ সালের আইএস আধিকারিক তিনি। বর্তমানে এই দফতরের দায়িত্ব সামলান লোকেশ। দফতরের বাইরে বহু ক্ষণ এক বৃদ্ধকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন তিনি। তা দেখে দফতরের এক মহিলা কর্মীকে গিয়ে নির্দেশ দেন, বৃদ্ধের যা কাজ রয়েছে তা যেন তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলা হয়। এমনকি, ষাটোর্ধ্ব কোনও ব্যক্তিকেই যেন অফিসে গিয়ে কাজের জন্য দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করতে না হয়, সেই সংক্রান্ত নির্দেশও দেন লোকেশ। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয় না।
বহু ক্ষণ পরেও সিসিটিভিতে চোখ লাগিয়ে সেখানে বৃদ্ধকে অপেক্ষা করতে দেখেন লোকেশ। তা দেখে কর্মীদের উপর চটে যান তিনি। উপযুক্ত শাস্তি দিতে দফতরের ১৬ জন কর্মীকে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেন তিনি। সেই সময় কর্মীদের যে কাজই থাকুক না কেন, সব দাঁড়িয়েই সারতে হবে, এমনই নির্দেশ দেন লোকেশ। পরবর্তী ২০ মিনিট মুখ বুজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় কর্মীদের।
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে কর্মীদের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর চড়া হতে থাকে। এক জন নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘আমার স্কুলজীবনের কথা মনে পড়ে গেল। তখন কোনও অন্যায় করলে শিক্ষকেরা কান ধরে দাঁড় করিয়ে দিতেন।’’ আবার এক জনের কথায়, ‘‘একদমই উচিত শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে আর এই ভুল তাঁরা করবেন না।’’