—প্রতীকী ছবি।
অফিসে ঢুকে ল্যাপটপ খুলে বসলেই হয়ে যেতে হবে রোবট। কারও সঙ্গে কথা বলা যাবে না, ফোন দেখা যাবে না। দীর্ঘ ক্ষণ থাকা যাবে না শৌচালয়েও। ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে চোখ সরালেই দেখতে হবে ঊর্ধ্বতনদের লাল চোখ। এমনই কড়া নিয়মকানুন রয়েছে অফিসে। নাম-ঠিকানা প্রকাশ না করে নিজের অফিসের নিয়মকানুনের কথা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন এক ব্যক্তি।
‘ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সংস্থার নাম উল্লেখ না করে ওই ব্যক্তি জানান , তিনি যে অফিসে কাজ করেন সেখানে নাকি নিয়মকানুন খুবই কড়া। কোনও সহকর্মীর সঙ্গে অফিসের ভিতর কাজ ছাড়া অন্য বিষয়ে কথা বলা যায় না। ইয়ার্কি-ঠাট্টা করার কথা ভাবনাও সেখানে ‘পাপ’। কাজের ফাঁকে ব্যবহার করা যাবে না ফোনও। যদি খুব প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার ছাড় পাওয়া যায়।
শৌচালয়ে গিয়ে কর্মীরা কত ক্ষণ সময় কাটাচ্ছেন, সে দিকেও নজর থাকে। শৌচালয়ে গিয়ে দীর্ঘ বিরতিও নেওয়া যায় না। সেখানে ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে চোখ সরানোর অর্থই হল, কর্মীরা কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন। চোখ জ্বালা করলেও কিছু ক্ষণ দু’চোখ বুজে থাকা যায় না। কোনও সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে তাঁকে গ্রুপেই আলাদা করে মেসেজ পাঠাতে হয় অথবা বিশেষ সফ্টঅয়্যারের মাধ্যমে কথা বলতে হয়। অফিসের ভিতর সব সময়ই বিরাজ করে নিস্তব্ধতা। পিন পড়লেও যেন তার শব্দ পাওয়া যায়।
r/IndianWorkplace makes it to national news. Keep raising your voice ✊
byu/weak_superher0 inIndianWorkplace
এই পোস্টটি দেখে এক নেটব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘‘আপনি অফিসের নাম বলুন। এই অমানবিক আচরণ যাঁরা করছেন তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা প্রয়োজন।’’ আবার অন্য এক নেটাগরিক পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি এই চাকরি ছাড়ুন। না হলে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।’’