—প্রতীকী ছবি।
বাড়ি থেকে গোপন ক্যামেরা খুঁজে পাওয়ার ক্ষতিপূরণ ২২ কোটি টাকা! আমেরিকাবাসী ধনকুবেরের সন্তানদের দেখভাল করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল এক তরুণীকে। কেলি অ্যান্ড্রেড নামের ওই তরুণী হঠাৎই তাঁর শোয়ার ঘরে একটি গোপন ক্যামেরার হদিস পান। ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মাথায় বাজ পড়ে তাঁর। কারণ প্রায় ১০০ ঘণ্টার ওই ভিডিয়ো ফুটেজে কেলিরই নগ্ন ছবি তোলা হয়েছিল, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ইয়াহু নিউজ়। এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন খোদ তারই মনিব মাইকেল এস্পোসিটো। তাঁর চার সন্তানকে দেখাশোনার জন্যই মাইকেলের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন কেলি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মাইকেল এস্পোসিটো এবং তার স্ত্রী ড্যানিয়েলের চার সন্তানের জন্য কেলি ২০২১ সালে কলম্বিয়া থেকে নিউ ইয়র্কে উড়ে এসেছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যেই কেলির মনে তাঁর মনিবের প্রতি সন্দেহ জাগতে শুরু করে। কারণ তিনি লক্ষ করেছিলেন, নানা অছিলায় কেলির ঘরে ঢুকে স্মোক ডিটেক্টর যন্ত্রটিকে পরীক্ষা করতেন। কাজে যোগ দেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেই মনিবের কুকীর্তি ধরে ফেলেন কেলি। কোনও ক্রমে মাইকেলের বাড়ি থেকে পালিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ২০২১ সালে ধরাও পড়েন মাইকেল।
তবে মাইকেলের শাস্তি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন অ্যান্ড্রেড। ম্যানহাটনের এক আদালতের নির্দেশে তাঁর ক্ষতিপূরণ হিসাবে যে টাকা দেওয়া হয় তা-ও তাঁর মানসিক ক্ষতির তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে দাবি কেলির। তিনি বলেন, ‘‘এই তিন বছর ধরে আমি যে সমস্ত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি তার জন্য এটি যথেষ্ট নয়।’’