—প্রতীকী ছবি।
ফ্রিজের মধ্যে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে জমে গিয়েছিল দু’টি বার্গার। ছুরি দিয়ে বার্গার দু’টি আলাদা করার চেষ্টা করছিলেন এক প্রৌঢ়। কিন্তু অসাবধানতাবশত ছুরিটি তাঁর পেটে ঢুকে যায়। ঘটনাটি গত বছরের জুলাই মাসে ব্রিটেনের ওয়েল্স শহরে ঘটেছে। মৃত প্রৌঢ়ের নাম ব্যারি গ্রিফিথ্স (৫৭)। সম্প্রতি আদালতে প্রমাণিত হয় যে, এটি খুন অথবা আত্মহত্যা নয়। অসাবধানতার বশেই মারা গিয়েছেন ব্যারি।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ছুরি দিয়ে বার্গার কাটার চেষ্টা করছিলেন ব্যারি। কিন্তু দীর্ঘ সময় বার্গার দু’টি ফ্রিজে থাকার কারণে এতটাই শক্ত হয়ে গিয়েছিল যে তা সহজে কাটা যাচ্ছিল না। অসাবধানতাবশত বার্গার কাটতে গিয়ে ব্যারির পেটে ছুরি ঢুকে যায়। গুরুতর আহত হয়ে নিজের বাড়িতেই মারা যান তিনি। স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরেও ব্যারির কোনও খোঁজখবর না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন ব্যারির বন্ধুরা।
পুলিশকে জানাতেই ব্যারির বাড়ি পৌঁছে যান পুলিশকর্মীরা। ব্যারির বাড়িতে ঢুকে পুলিশ দেখে, রান্নাঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ব্যারির দেহ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, ছুরির আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু ব্যারিকে খুন করা হয়েছে না কি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে। গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীরা তদন্তে নেমে দেখেন যে, ব্যারির বাড়িতে কারও অনধিকার প্রবেশ ঘটেনি। আত্মহত্যার চেষ্টাও করেননি তিনি। দুর্ঘটনার ফলেই ব্যারির মৃত্যু ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয় আদালত।