ছবি: সংগৃহীত।
সোনা ভেবে বছরের পর বছর বাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পাথর ভেঙে সোনা বার করতে না পেরে সেটি জাদুঘরে জমা দিতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারলেন সোনা ভেবে যে লালচে পাথর তিনি এত দিন নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন তার মূল্য লাখ লাখ টাকা। এমনকি সেই পাথরটি পৃথিবীর অংশ নয় বলে জানালেন মেলবোর্ন জাদুঘরের বিশেষজ্ঞরা। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা ডেভিড হোল নামের সেই ব্যক্তি যা শুনলেন তাতে নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। পাথরটি মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া একটি বিরল উল্কাপিন্ড। যার বয়স আনুমানিক কয়েক কোটি বছর। ১৫ কেজি ওজনের শিলাটিকে পরীক্ষা করার পর বিশেষ়জ্ঞরা এটিকে ‘মেরিবরো উল্কা’ হিসাবে চিহ্নিত করেন। গবেষকদের অনুমান ১০০০ বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে এটি। সম্ভবত মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যবর্তী গ্রহাণুপুঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসে উল্কাপিণ্ডটি বলে গবেষকদের অনুমান।
প্রায় ১৫ বছর আগে নিছক আগ্রহের বশে মেরিবরো পার্ক থেকে শিলাখণ্ডটি তুলে আনেন ডেভিড। মূল্যবান বস্তু থেকে শুরু করে রত্নপাথর সংগ্রহ করার শখ রয়েছে তাঁর। পাথর থেকে সোনা পাওয়া যাবে এই ধারণা করে তিনি সেটি বাড়ি নিয়ে আসেন। হাতুড়ি মেরে, অ্যাসিড দিয়ে এটিকে ফাটানোরও চেষ্টা করে অবশেষে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত বিশ্লেষণের জন্য শিলাটিকে মেলবোর্ন মিউজ়িয়ামে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন উল্কাপিণ্ডটি লোহা এবং স্ফটিকযুক্ত খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ যা ‘কন্ড্রুল’ নামে পরিচিত। লালচে উল্কাপিণ্ডটি বিরল হওয়ার কারণে এখন এর মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে অনুমান করছেন গবেষকরা।