ছবি: সংগৃহীত।
বড়দিনে আর পাঁচজনের মতো উপহার পেল তাইল্যান্ডের পিগমি জলহস্তী মু ডেং। উপহারের অঙ্কটা শুনলে হয়তো চোখ কপালে উঠতে পারে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা। তাইল্যান্ডের এই খুদে প্রাণীটির জনপ্রিয়তা বিশ্ব জুড়ে। দুষ্টুমিষ্টি জলহস্তীটির সান্তা হয়ে উপহারটি পাঠিয়েছেন, ক্রিপটোকারেন্সি ব্যবসায়ী ভিটালিক বুটেরিন। রাশিয়ান-কানাডিয়ান ধনকুবের বুটেরিন ইথেরিয়াম নামের ক্রিপটোকারেন্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা। কয়েক দিন আগে তাইল্যান্ডের খাও-খেও চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। খুদে জলহস্তীর কাণ্ড দেখে তিনিও ভালবেসে ফেলেছিলেন মুকে। মু-এর দেখভালের জন্য এই অর্থ প্রদান করা হয়েছে। নানা দেশের চি়ড়িয়াখানায় পশুদের দত্তক নেওয়ার চল রয়েছে। এখন থেকে বুটেরিনের ‘দত্তক সন্তান’ হিসাবে গণ্য হবে মু।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মু ও তার বাকি সঙ্গীসাথীদের দেখভাল করার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয় তার জন্য ওই তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সমাজমাধ্যম ফেসবুকে বুটেরিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এগিয়ে আসার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছে তারা। ২৬ ডিসেম্বর আর্থিক সাহায্যের প্রথম কিস্তিটি পাঠানো হয়েছে। বাকি টাকা পরের কিস্তিতে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বুটারেন জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থার অনুষ্ঠানের জন্য তাইল্যান্ড এসে এই দেশের আতিথেয়তায় তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাইল্যান্ডের সকলের প্রিয় মু-কে বড়দিনের এই উপহার দিচ্ছেন তিনি।
তাইল্যান্ডের চোনবুরির খাও-খেও চিড়িয়াখানার বাসিন্দা মু ডেং। জন্মের পর থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ‘পিগমি’ জলহস্তীটি। অনেক বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে সে। ‘মুনওয়াক’ করে ভক্তদের মন জয় করা থেকে শুরু করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে কে জয়ী হবেন তার ভবিষ্যদ্বাণী করা— সমাজমাধ্যম জুড়ে মু এখন তারকা। নানা রকম কাণ্ডকারখানায় সে মাতিয়ে রাখে দর্শকদের।