(বাঁ দিকে) মালিক কমলেশ কুম্ভর। পোষ্য মহারাজ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
প্রভুর সঙ্গে তীর্থে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল পোষ্য কুকুর। ফিরে পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন মালিকও। অবশেষে সবাইকে চমকে ২৫০ কিলোমিটার পথ একা পাড়ি দিয়ে ফিরে এল সেই কুকুর। এমনই এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বেলাগাভি জেলার নিপানি তালুকের ইয়ামাগর্নি গ্রামের বাসিন্দারা।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুকুরটি গ্রামবাসীদের কাছে পরিচিত ‘মহারাজ’ নামে। তার মালিক কমলেশ কুম্ভর প্রতি বছর বন্ধুদের সঙ্গে আষাঢ় একাদশী এবং কার্তিকী একাদশী উপলক্ষে তীর্থ করতে ২৫০ কিলোমিটার হেঁটে মহারাষ্ট্রের পন্ধরপুরে যান। এ বছরও গিয়েছিলেন। দীর্ঘ পদযাত্রায় এ বার সঙ্গী হয়েছিল মহারাজও।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে কমলেশ বলেন, ‘‘মহারাজ ভজন শুনতে পছন্দ করে। প্রায়ই আমার সঙ্গে ভজন শুনতে যেত ও। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে ভজন করতে করতে মহারাষ্ট্রের পন্ধরপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করি। মহারাজও আমাদের পিছু নেয়।’’
কমলেশ জানিয়েছেন, বিঠোবা মন্দিরে দর্শনের পর থেকেই তিনি তাঁর পোষ্যকে আর খুঁজে পাননি। অনেক চেষ্টার পরেও মহারাজের খোঁজ না পেয়ে ভারাক্রান্ত মনে বাড়ি ফিরে আসেন কমলেশ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তাকে সর্বত্র খুঁজেছিলাম। কিন্তু পাইনি। আমি ভেবেছিলাম যে, ও হয়তো অন্য কারও সঙ্গে চলে গিয়েছে। এর পর ১৪ জুলাই আমি বাড়ি ফিরে আসি।’’
তবে কমলেশকে চমকে দিয়ে তাঁর ফেরার পর দিনই বাড়ি ফেরে মহারাজ। মহারাষ্ট্রের পন্ধেরপুর থেকে কর্নাটকের বেলাগাভি— কী ভাবে ২৫০ কিলোমিটার পথ চিনে পোষ্য বাড়ি ফিরে এল তা ভেবে প্রথমে অবাক হয়ে গেলেও মহারাজকে দেখে খুশিতে মন ভরে যায় কমলেশের। মহারাজ বাড়ি ফেরার আনন্দে মাতেন ইয়ামাগর্নির স্থানীয়েরাও। তার সম্মানে ভোজের আয়োজনও করা হয়। গ্রামবাসীদের অনেকেরই অবশ্য ধারণা, ‘জাদুবলে’ ঘরে ফিরেছে মহারাজ।
কমলেশ বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি অলৌকিক। কী ভাবে কুকুর রাস্তা খুঁজে এতটা পথ পেরিয়ে বাড়ি ফিরল তা ভেবে অবাক হচ্ছি। আমরা মনে করি ভগবানই ওকে পথ দেখিয়েছিলেন।’’