ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
হেলমেট ছাড়া রাস্তায় স্কুটি চালাচ্ছেন তরুণী। স্কুটির কোনও ‘ভেহিকল নম্বর’ও নেই। তা দেখেই তরুণীর হাতে চালান ধরিয়ে দিচ্ছিলেন ট্র্যাফিক পুলিশ। কিন্তু বিপদ থেকে বাঁচতে তরুণী ‘ছল’ করতে শুরু করেন। ‘শিনচ্যান’ নামের কার্টুন চরিত্রের গলা নকল করে ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘অমরকাটারিয়াঅফিশিয়াল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, স্কুটির উপর বসে রয়েছেন এক তরুণী। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দু’-তিন জন ব্যক্তি। রয়েছেন এক ট্র্যাফিক পুলিশও। তরুণী ট্র্যাফিকের নিয়মকানুন ভেঙেছেন বলে তরুণীর নামে চালান কেটে দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তরুণী কিছুতেই নিজের নাম বলছিলেন না। স্কুটির উপর বসে তিনি ক্রমাগত বলছিলেন, ‘‘আমার নাম শিনচ্যান নোহারা। বিশ্বাস না করতে চাইলে আমার মাকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।’’
ট্র্যাফিক পুলিশ ওই তরুণীকে হেলমেট পরে স্কুটি চালাতে বলছিলেন। কিন্তু তরুণী হঠাৎ প্রশ্ন বসেন, যে হেলমেট না পরে স্কুটি চালালে কী হবে? পুলিশ জবাবে বলেন, ‘‘সাবধানতা অবলম্বন না করলে যমরাজ ধরে নিয়ে যাবে।’’ তরুণী আবার প্রশ্ন করেন, ‘‘যমরাজ কে? আপনার পিতা?’’ পুলিশ কর্মী বলেন, ‘‘না। যাঁরা নিয়ম মেনে গাড়ি চালান না, তাঁদের যমরাজ ধরে নিয়ে যায়।’’ তরুণীর কাণ্ডকারখানা দেখে এক ব্যাক্তি এগিয়ে যান এবং তরুণীর কত জরিমানা হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করেন।
তরুণী শিনচ্যানের গলা নকল করেই বলতে থাকেন, ‘‘আমার কিছুই হবে না। যমরাজ আমার কিছুই করতে পারবে না। কারণ, আমার নাম শিনচ্যান নোহারা। আমার বয়স পাঁচ বছর। ওই কাকুটা খুব ভাল। কত জরিমানা হয়েছে জিজ্ঞাসা করছেন। উনিই টাকা দিয়ে দেবেন।’’ তখনই ভিডিয়োটি শেষ হয়ে যায়।
ঘটনাটি হরিয়ানার রোহতক এলাকায় ঘটেছে। ভিডিয়োটি দেখে তরুণীকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে তরুণীর এমন আচরণ শোভনীয় নয়, মন্তব্য করেছেন তাঁরা। আবার অনেকে মজাও পেয়েছেন। এক জন নেটব্যবহারকারী বলেছেন, ‘‘তরুণীর তো দারুণ দক্ষতা! কী সুন্দর শিনচ্যানের গলা নকল করে কথা বলে চলেছে!’’