work place

মনের জোর বৃদ্ধি করতে আগুন খাওয়ার নির্দেশ দিল সংস্থা! খবর ভাইরাল হতেই হইচই

‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, রংরং নামের এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এই আজব নির্দেশের কথা জানিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৩
Employee of a Chinese firm forced to eat fire to boost self-confidence

—প্রতীকী ছবি।

কর্মীদের মনের জোর ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আগুন গিলে খাওয়ার নিদান দিল চিনের এক সংস্থা। কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় করার একটি অংশ হিসাবে এই অদ্ভুত নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থারই এক কর্মী এই তথ্যটি ফাঁস করে দেওয়ার ফলে সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কর্মীর দাবি, সংস্থাটি কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এবং ভয়কে জয় করার পদ্ধতি হিসাবে আগুন খেতে বাধ্য করেছে। ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, রংরং নামের এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এই আজব নির্দেশের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কর্মীদের মুখে একটি জ্বলন্ত তুলোর টুকরো ফেলার নির্দেশ দেয় ওই সংস্থা।

Advertisement

অনেকের মতো চাকরি হারানোর ভয়ে তিনিও এই বিপজ্জনক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান রংরং। সংস্থার কর্তাদের কাছে নিজেদের দৃঢ় মনোভাব বজায় রাখার জন্য দাঁতে দাঁত চেপে এই নির্দেশ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন কর্মীরা। তিনি পুরো কার্যকলাপটিকে ‘অপমানজনক’ বলে সমাজমাধ্যমে উল্লেখ করেছেন। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, একমাত্র প্রশিক্ষিত পেশাদাররাই নিরাপদে আগুন গিলে নেওয়ার মতো কাজটি করতে পারেন। এর জন্য শ্বাস নিয়ন্ত্রণের বিশেষ কৌশল রপ্ত করতে হয়।

দৃঢ়তার অনুশীলনের সময় কর্মীদের সঙ্গে কঠোর আচরণের নজির চিনে এই প্রথম নয়। একাধিক সংস্থায় কর্মীদের বিভিন্ন অদ্ভুত আচরণ করতে বাধ্য করা হয়। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে পূর্ব চিনের একটি সংস্থা মুখে আগুন নিয়ে তা গিলে ফেলার প্রশিক্ষণ দেয়। রীতিমতো আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি নিয়ে এই বিপজ্জনক খেলা শেখেন সংস্থার কর্মীরা। এই ঘটনার কথা জানার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘‘শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য এখনও অনেক পথ যেতে হবে।’’ অন্য এক জন ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁকেও এই ধরনের কঠিন পরীক্ষার মধ্যে যেতে হয়েছিল। দু’মিটার উঁচু থেকে চোখ বন্ধ করে ঝাঁপ দিতে বলা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।

Advertisement
আরও পড়ুন